scorecardresearch
 

যাদবপুরে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের উপর হামলা! তীব্র নিন্দা বিজেপির

যাদবপুরে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এদিন ঘটনাটি ঘিরে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এখানে মানবধিকার কমিশন এসেছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। তারা আজকে যা দেখলেন, তা আমি ট্যুইট করে নিন্দা করেছি। তারা আজ দেখলেন এখানে কী হচ্ছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাও তারা দেখেছে।

Advertisement
শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং স্বপন দাশগুপ্ত শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং স্বপন দাশগুপ্ত
হাইলাইটস
  • যাদবপুরে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের উপর হামলা
  • তীব্র নিন্দা বিজেপির
  • তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির

যাদবপুরে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এদিন ঘটনাটি ঘিরে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এখানে মানবধিকার কমিশন এসেছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। তারা আজকে যা দেখলেন, তা আমি ট্যুইট করে নিন্দা করেছি। তারা আজ দেখলেন এখানে কী হচ্ছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাও তারা দেখেছে। পুলিশ মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য ব্যস্ত।" বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেন, "আক্রমণ তো আর নতুন কিছু না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার অনুচরদের ধারনা যেহেতু তারা ভোটে জিতেছেন তাই মানুষকে খুন করার, ধর্ষণ করার অধিকার তারা পেয়ে গিয়েছেন। যেহেতু পুলিশ ওদের হাতে আছে, তাই পুলিশ চুপ করে বসে থাকবে। কিন্তু এটা চলবে না।  শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর দাম দিতে হবে।"

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "দিল্লি থেকে যিনি আসছেন তাকেই শত্রু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির উপরে হামলা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য নেতাদের উপর হামলা হয়েছে। রাজ্যপালকে রাস্তায় থামানো হয়েছে, এমনকি কালো পতাকাও দেখানো হয়েছে।" বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত জানান, "এটা পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলরাজের দিকেই ইঙ্গিত দেয়। এখানে কোথাও সুরক্ষা নেই। তৃণমূলের আমলে এখানে হিংসা বেড়েছে বিপুল।"

প্রসঙ্গত ,রাজ্যে ভোট পরবর্তী হামলার তদন্ত করতে গিয়ে এবার খোদ আক্রমণের মুখে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্যরা। অভিযোগ যাদবপুরে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, যাদবপুরে এদিন ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত চালাতে গিয়েছিল মানবধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেই সময়ে তারা জানতে পারেন ৪০টি বাড়ি এখানে নির্বাচনের পরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঠিক সেই সময়ে গুণ্ডারা তাদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।  প্রসঙ্গত, ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় জাতীয় মানবধিকার নির্দেশকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তদন্ত করার। তারপর বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কমিটির প্রধান হয়েছেন কমিশনের সদস্য রাজীব জৈন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন, প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্র এই কমিটি তৈরি করেছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে ইতিমধ্যে শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসার একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি। অন্যদিকে, সব অভিযোগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে জমা পড়েছিল। এবার সেই কমিশনের সদস্যদের উপরই উঠল হামলার অভিযোগ।

Advertisement

Advertisement