scorecardresearch
 

All Party Meeting: মমতার সর্বদলীয় বৈঠকে 'না' বাম-কংগ্রেসের, INDIA-জোটে প্রভাব?

৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর আরব সাগরের তীরে মুম্বইতে বসতে চলেছে দেশের বিরোধী দলগুলির জোটের (India Alliance) সর্বদল বৈঠক। তাতে যোগ দিতে বুধবারই মুম্বই যাওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে আজ সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই থাকবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস শিবির।

Advertisement
মমতার সর্বদলে  বিজেপির মত নেই বাম-কংগ্রেসও মমতার সর্বদলে বিজেপির মত নেই বাম-কংগ্রেসও

৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর আরব সাগরের তীরে মুম্বইতে বসতে চলেছে দেশের বিরোধী দলগুলির জোটের (India Alliance) সর্বদল বৈঠক। তাতে যোগ দিতে বুধবারই মুম্বই যাওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে আজ সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই থাকবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস শিবির। 

 প্রসঙ্গত কোন দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হবে তা ঠিক করতে নবান্নে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ নবান্ন সভাঘরে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে।  সেই বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই চিঠি দিয়েছেন তিনি।  কিন্তু বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম ও সিপিআই। নবান্ন সূত্রে খবর, বামফ্রন্টের তরফ থেকে একটি চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের আমন্ত্রণ পেলেও তারা সেই সর্বদল বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না। বরং তাদের বক্তব্য, বেকারত্ব, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, জাত-ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে, সেই সমস্ত বিষয় বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে এই সর্বদল বৈঠকে তাদের আদৌ কোনও আগ্রহ নেই। বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের জোট সঙ্গী আইএসএফ-এর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর আবার দাবি কোনও আমন্ত্রণ তিনি  পাননি। ফলে বৈঠকে থাকছে না আইএসএফ-ও। 

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও জানিয়ে দিয়েছেন, সর্বদল বৈঠকে থাকছে না কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিও।   এদিকে বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজকের এই সর্বদল বৈঠকে যোগ দেবে না গেরুয়া শিবিরও। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাচ্ছে না তাঁর দলের কোনও প্রতিনিধি। সেই সঙ্গে, তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, আগামী দিনেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও ক্ষেত্রে মঞ্চ ভাগাভাগি করবে না বিজেপি বিধায়করা। ফলে আজকের  সর্বদল বৈঠকে একমাত্র উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এসইউসিআই-এর। যতদূর জানা যাচ্ছে, এছাড়া বিভিন্ন ভাষা অ্যকাডেমি, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে।  মূলত তাদের নিয়েই এই বৈঠক মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন

Advertisement

এবছর ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালিত হয় রাজভবনে। ঠিক যেমন পালিত হয়েছিল গোয়া দিবস, সিকিম দিবস, এমনকী, তেলেঙ্গানা দিবসও। কারণ, কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, দেশের প্রতিটি রাজভবনেই বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করতে হবে। শুধু তাই নয়, তালিকায় ২০ জুন তারিখটিকেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই  সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রণপত্রে তিনি বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিশেষ দিনকে (২০ জুন) পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বছর ওই দিন রাজভবনে কিছু কর্মসূচিও নেওয়া হয়। যদিও তার আগেই আমি চিঠি দিয়ে মাননীয় রাজ্যপালকে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাই।' ২০ জুন রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে কেন রাজ্য সরকার আপত্তি তুলেছিল, তারও ব্যাখ্যা আমন্ত্রণপত্রে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'হঠাৎ ওই বিশেষ দিনটি কেন পশ্চিমবঙ্গের 'প্রতিষ্ঠা দিবস' হিসেবে পালন করা হচ্ছে, তা আমাদের কাছে আদৌ পরিষ্কার নয়। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কোনও আলোচনা করেনি। মাননীয় রাজ্যপালও আমাদের কিছু খোলসা করেননি। পশ্চিমবঙ্গে এই রকম 'প্রতিষ্ঠা দিবস' পালনের কোনও রেওয়াজ ছিল না। ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ 'প্রতিষ্ঠিত' হয়েছিল বলে আমরা কোথাও কিছু পড়িনি বা শুনিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক একতরফা সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর ও উদ্বেগজনক।' ২৯ অগাস্ট সর্বদলীয় বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণপত্রে জানিয়েছিলেন। । এই বৈঠকের পরে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের প্রস্তাবিত তারিখকে স্বীকৃতি দিতে বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে রেজ়োলিউশন পেশ করা হবে।

বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হচ্ছে মুম্বইতে , অন্যদিকে এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেস তৃণমূলের বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ  বিকেল চারটে থেকে নবান্নে রয়েছে ওই বৈঠক। 
 

Advertisement