লোকসভা ভোটের পর দিল্লিতে নতুন কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হয়েছে। সেই সরকার বাজেটও পেশ করেছে গত মঙ্গলবার। যা নিয়ে এখন গোটা দেশে চলছে আলোচনা। আর এই আবহেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরের বিমানে তাঁর রাজধানী রওনা হওয়ার কথা। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে সময় চাওয়া হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত ২৭ জুলাই রাজধানীতে নীতি আয়োগের বৈঠক। সেই বৈঠকের ২ দিন আগেই দিল্লিতে পৌঁছবেন মুখ্য়মন্ত্রী। ২৬ তারিখ তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদের বৈঠকে করবেন তিনি। এরপর যেতে পারেন সংসদ ভবনেও। তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি মমতা। এরপর ২৭ তারিখ সকাল ১০টা নীতি আয়োগের বৈঠকে য়োগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন দিনভর চলবে এই বৈঠক। সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চেয়েছেন। ২৬ জুলাই, শুক্রবার মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠক হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকে মমতা কোন কোন ইস্যু প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
জানা যাচ্ছে 'ইন্ডিয়া’ শিবিরের মোট সাত জন মুখ্যমন্ত্রী শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিংহ সুখুও বৈঠকে থাকছেন না বলে খবর। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে যোগ দেবেন না। DMK নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করছেন। কিন্তু তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। মোদী সরকার মনে করছে, তৃণমূল নেতৃত্ব বাজেটে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেও মমতা যে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের মতো নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করছেন না, সেটাই ‘সঠিক নীতি’।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। লোকসভা ভোটের প্রচারে এই ইস্য়ুতে বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। অভিযোগ, একশো দিনের টাকা, আবাস যোজনায় রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। গত বছরের অক্টোবরের দিল্লিতে ধরনা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পেলে ফের একবার রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সরব হবেন তা কার্যত স্পষ্ট। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।