রাজ্যের রাজনৈতিক হত্যা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার কলকাতায় তিনি তৃণমূল সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিটই হয়নি। ফলে অপরাধ বাড়ছে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলুন রাজ্যে কতগুলি রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে।
এদিন অমিত শাহ দেশ এবং রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও ওঠে। তিনি জানান, রাজ্যে অপরাধ বাড়ছে। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। রাজনৈতিক হত্যায় বাংলা দেশে প্রথম। অপরাধীদের কোনও শাস্তি হয় না। প্রশাসনে রাজনীতি ঢুকিয়ে দিয়েছেন মমতা দি। আমি এখানে এসেছি, উনি অন্য কোনও রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন। তবে আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই, ২০১৮-র পর ন্য়াশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোয় তথ্য ফাঠাননি কেন? কী লুকোচ্ছেন। কাকে লুকোচ্ছেন। দেশের মানুষ জানে। সেখানে সবাই তথ্য দেয়। তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল জিঞ্জেস করে বিজেপির রাজ্যের কী অবস্থা। আমি সেখানে গিয়ে তার জবাব দেব। মমতাদি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ওঁর এত চিন্তা কেন। যাঁকে নিয়ে কথা হচ্ছে তিনি কয়লার রাজস্ব চুরি, ওঁর এত চিন্তা কেন। মহিলাদের ওপর অত্যাচার কমাবোর জন্য চিন্তা করলে হত! বাংলায় তিনটি আইন আছে একটি ভাইপোর জন্য, একটি ভোটব্যাঙ্কের জন্য এবং একটি বাংলার জনতার জন্য। পরিস্থিতি ২০০-র বেশি আসন পাবো। আগের বছর প্রেস ক্লাবে বলেছিলাম ২২ পাবো। তখন আপনারা হেসেছিলেন। এবার আমার হাসার সময। তৃণমূলের শাসন শেষ হওযার পালা। মোদিক মানুষের ভরসা করেন। বাংলার ভাল করার জন্য মানুষ আমাদের একবার সুযোগ দেবেন। দেশের সুরক্ষার জন্য বিজেপিকে জেতান। মমতা দি প্রশাসনে রাজনীতিকরণ, রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক করে দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছি না। প্রশাসনিক প্রশ্ন তুলছি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটাও তুলিনি। কোনও রাজ্য সরকার ভাল কাজ না করলে আমরা প্রশ্ন তুলি।
বিজেপির সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক লম্বা তালিকা। এই দুজনের নাম বলছেন কেন? দুটো নামে সীমিত থাকবেন না। তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের ফারাক অনেক। আমরা জিতব। নির্বাচন কমিশনের নিজের কাজ করবে।