আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মহাযুদ্ধ হতে চলেছে। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে সেই লড়াইয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিপক্ষ বলা যায় বিজেপির আইনজীবীর প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। প্রায় প্রতিদিনই নিজের এলাকায় প্রচার করছেন প্রিয়াঙ্কা। এরআগে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রচারে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মঙ্গলবারও ঠিক একই অভিযোগ করতে দেখা গেল প্রিয়াঙ্কাকে। এবার তাঁর অভিযোগের তির সোজা পুলিশের দিকে।
মঙ্গলবার ভবানীপুরের পটুয়াপাড়া নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অভিযোগ সেখানেই প্রথমে তাকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশ এসে তাঁকে বলে এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে অতএব এত লোক নিয়ে প্রচার করা যাবে না। পুলিশের সঙ্গে তাৎক্ষণিক বচসা শুরু হয় বিজেপির আইনজীবী প্রার্থীর। এই ১৪৪-এর কোন বৈধ কাগজ দেখতে চাওয়া হলে পুলিশ তা দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের অভিযোগ পুলিশ সাকদলের হয়ে কাজ করছে। এর বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। ভাবনীপুর উপনির্বাচনে যাতে কালীঘাট এবং ভবানীপুর থানার পুলিশকে কাজে লাগানো না হয়, সেই আর্জিও করবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। সেইসঙ্গে পুলিশ কমিশনারকেও এই ব্যাপারটা অবগত করা হবে বলেও জানিয়েছে তিনি।
এর আগেও প্রচারে বেরিয়ে একাধিকবার প্রিয়াঙ্কাকে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তাঁর প্রচারে ভিড় দেখানোর জন্য সাদা পোশাকে পুলিশ জমায়েত করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। পুলিশ তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর।
এদিকে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীকে আটকানোর প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'এ রাজ্যে বিজেপির প্রচারকে আটকে দেওয়ার রাজনীতি চলছে। অন্য রাজ্যে ভোটের সময় হিংসা হয় না। এই রাজ্যে হিংসা হয়। এটাই পশ্চিমবঙ্গ।' দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে কেন পশ্চিমবঙ্গে হবে না এ প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সপায়ার হয়ে গিয়েছেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার কাছে কেউ আসতে পারবে না।' কাককে পেখম লাগালে কখনো ময়ূর হয় না বলেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।