গত শুক্রবার বিধানসভার শুরু দিন রাজ্যপালের ভাষণে নির্বাচন পরবর্তী বাংলায় হিংসার উল্লেখ ছিল না। এই নিয়ে বিরোধী বিজেপি শিবির মুলতুবি প্রস্তাব আনতে গেলেও স্পিকার সময়ের অভাব দেখিয়ে তা করতে দেননি। এই নিয়ে স্পিকারকে দলদাস বলতেও ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবারও আক্রমণাত্মক মেজাজেই পাওয়া গেল শুভেন্দুকে। বুধবারই বাজেট পেশ করেছে রাজ্য সরকার। আজ তার প্রেক্ষিতে বলার কথা ছিল বিরোধীদের। এদিন ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। সেই প্রস্তাবও খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শুভেন্দু। মমতা সরকারকে বিঁধেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, "২৩৫ দম্ভের মতো ২১৩ দম্ভ দেখাচ্ছে।"
এদিন বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট করে বিজেপি। বিধানসভার কর্মসূচী ঠিক করার জন্য এই বৈঠক হয়। কিন্তু, এই বৈঠকে কোনও বিধায়ক থাকবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। শুভেন্দু বলেন, বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছে তৃণমূল সরকার, কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নিয়ে এদিন মারাত্মক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি একাধিক বিধায়ক ও আইপিএস-যুক্ত আছেন এই ঘটনায়। বহু মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানতে চাইলেও রাজ্য সরকার উদাসীন। শুভেন্দুবাবুর কথায়, 'ভুয়োভ্যাকসিন-কাণ্ডে বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাইরে এসে প্রশ্ন করতে হচ্ছে। প্রয়োজনে জনতার কাছেও যাব আমরা। '
এদিকে এদিন, সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। পাশাপাশি রাজ্য বাজেট নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর মতে, রাজ্য বাজেটে বিভ্রান্তি রয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতি হচ্ছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধা কারা পেয়েছেন, সেই তালিকা প্রকাশ করতেও বলেন বালুরঘাটের বিধায়ক। অশোক লাহিড়ীর কথায়, ‘মানুষ শুধুমাত্র ত্রাণ চান না। চান পরিত্রাণ।’