scorecardresearch
 

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ফের 'বহিরাগত' খোঁচা তৃণমূলের, পাল্টা দিল বিজেপি

রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আসা, বাংলাকে গুজরাত বানানোর পরিকল্পনাকে আক্রমণ করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তুমুল সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতাদের। পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

Advertisement
তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা
হাইলাইটস
  • বাংলায় বহিরাগতদের নিয়ে আসছে বিজেপি
  • কটাক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের
  • এখন তো তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই কেউ শুনছে না! দিলীপ

রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আসা, বাংলাকে গুজরাত বানানোর পরিকল্পনাকে আক্রমণ করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তুমুল সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতাদের। পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। 

এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন চন্দ্রিমা। তাঁর কটাক্ষ, বাংলায় বহিরাগতদের নিয়ে আসছে বিজেপি। কিন্তু বাংলার মানুষ বহিরাগতদের কিছুতেই মেনে নেবেন। তাঁর পরামর্শ, যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, আগে তাঁরা বাংলাকে ভাল করে জানুন। গুজরাতের থেকে অনেক ভাল অবস্থা বাংলার। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্প নকল করছে। এর মধ্যে রয়েছে কন্যাশ্রী স্বাস্থ্যসাথীর প্রকল্প। তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছিলেন। তারপর কেন্দ্র তার অনুকরণে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প চালু করেছে। ঠিক একই অবস্থা স্বাস্থ্যসাথীর ক্ষেত্রেও। তাঁর দেখানো পথে চলছে কেন্দ্র। 

বিজেপি শাসিত রাজ্যের সঙ্গে বাংলার স্বাস্থ্য পরিসংখ্যানের তুলনা করেন তিনি। জানান, রাজ্যে শয্যা বাড়ানো হয়েছে ২৭,০০০-এর বেশি। এখন ৮৭,৬৫০ টি শয্যা আছে, উত্তরপ্রদেশে শয্যা সংখ্যা ৭৬,২৬০, কর্নাটকে শয্যা সংখ্যা ৬৯,৭২১, মধ্যপ্রদেশ ৩১,১০৬, গুজরাতে শয্যার সংখ্যা ২০,১৭২। রাজ্যে ২০১১ তে ছিল ৫৮০০০টি। এবার আপনারাই ঠিক করুন।

চন্দ্রিমা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। আর তাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিবারের মেয়েদের নামে হয়। ওখানে মেয়ের মা-বাবাকেও বিমার আওতায় রাখা হয়। এই কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ করতে পারেন না। 

তাঁর কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, আমাদের সর্বভারতীয় নেতারা আসবেন। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- সবাই আসবেন ওঁদের শোনার দরকার নেই। আমাদের নেতা, আমরা শুনব। এখন তো দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই কেউ শুনছে না। আপনারা নিজেদের দল সামলান পশ্চিমবঙ্গ আমরা শুনে নেব। ওরা রোহিঙ্গাদের ডেকে এনেছে, অনুপ্রবেশকারীদের ডাকছে  ভোটের প্রচারে বাংলাদেশ থেকে অভিনেতা আনছেন। কারণ নিজেদের নেতাদের উপর ভরসা নেই। 

Advertisement

বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রশ্ন, বহিরাগত মানে কি? উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির মানুষ এখানে আসতে পারবেন না? তাঁদের ভিসা, পাসপোর্ট লাগে? তাহলে কি আপনারা ঘোষণা করছেন এটা পশ্চিম বাংলাদেশ? বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা বহিরাগত নন কিন্তু উত্তর প্রদেশ দিল্লির মানুষ বহিরাগত!

Advertisement