আগামী ১৯ ডিসেম্বর হতে পারে কলকাতা (KMC) ও হাওড়া (Howrah) পুরনিগমের ভোট। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে মিলেছে এমনটাই খবর। আর তারই প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি বিজেপির। কলকাতা ও হাওড়ার পাশাপাশি আরও যে সব জায়গায় পুরনির্বাচন বকেয়া রয়েছে সেই সমস্ত জায়গায় একইসঙ্গে ভোট কেন হবে না, সেই প্রশ্নও তোলে গেরুয়া শিবির।
সোমবার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনে (State Election Commission West Bengal) যান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, সঞ্জয় সিং ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা অতি সীমিত। তারা রাজ্য সরকারের মুখাপেক্ষি। সব জায়গার বকেয়া নির্বাচন একসঙ্গে নয় কেন, এর উত্তর দিতে হবে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। রাজ্য সরকার তথা শাসকদল নিজেদের ইচ্ছামতো নির্বাচন করে মানুষের অধিকার নিয়ে খেলা করবে তা হবে না।" প্রয়োজনে আইনি পথে যাওয়ারও ইঙ্গিতন দেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar)।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২২ নভেম্বর জারি করা হতে পারে কলকাতা ও হাওড়া পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি। কমিশন সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ নভেম্বর শুরু হবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া, যা চলবে আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ৪ ডিসেম্বর স্ক্রুটিনি। ভোট হবে ১৯ ডিসেম্বর, এবং গণনা ২২ ডিসেম্বর।
কমিশন সূত্রে আরও খবর, ভোটের জন্য রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই ২০০ কোটি টাকার একটি আনুমানিক হিসেব পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। তবে ভোটে পর্যাপ্ত বাহিনী থাকছে। তাছাড়া ভোটকর্মীর সংখ্যাও রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে কমিশন। অন্যদিকে রাজ্যের বাকি ১১২ টি পুরনিগম ও পৌরসভার নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন দফায় হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।