পুরভোটে ভরাডুবি বিজেপির। তাই দলের মনোবল বাড়াতে শনিবার 'চিন্তন বৈঠক'-এর (Chintan Baithak) আয়োজন করে দল। যদিও সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ঘটা করে হয় খাওয়া দাওয়াও। রবিবার 'চিন্তন বৈঠক'-কে কেন্দ্র করেই জোর তরজা শুরু হয় বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শনিবার বৈঠকে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তিনি বলেন, ''শুধু সন্ত্রাস হচ্ছে বললেই হবে না। দুর্বলতা স্বীকার করতে হবে। কমিটিতে যোগ্যতাকে উপেক্ষা করে, কোটাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরনোদের সরিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সিপিএম কীভাবে দ্বিতীয় বিরোধী দল হয়ে উঠেছে, তা পর্যালোচনা করতে হবে।"
এই মন্তব্যের পাল্টা শানান দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্য,"কেউ যদি নিজের দায় এড়াতে চেষ্টা করে এবং অন্যের কাঁধে দায় চাপিয়ে দেয় তবে এটি "আত্ম-বিশ্লেষণ বা আত্ম-সমালোচনা" নয়। তাঁর আরও বক্তব্য, "যে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করা খুবই সহজ। কিন্তু যারা মাঠে নেই তারা এসব বলছেন। যারা মাঠে কাজ করেছেন তারা জানেন কাজটা কতটা কঠিন।"
গত ২ মার্চ ১০৮টি পুর নির্বাচনের ফলাফলের ঠিক পরে লকেট ট্যুইট করে লেখেন,"বিজেপি জিততে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ভোট ১৩ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। যেখানে বামপন্থীদের ১৪ শতাংশ ভোট শেয়ার রয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, "আমরা বর্তমানে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে গেছি তাই বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে চিন্তিত নই।"