শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। শুক্রবার তিনি শোভনবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় অরবিন্দ মেনন এবং অমিতাভ চক্রবর্তীকে ভাইফোঁটা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। দলের কর্মসূচি থাকায় তাঁরা আর ওখানে যাওয়ার সময় বের করতে পারেননি। সেই উপলক্ষেই তাঁরা দেখা করে গেলেন। এদিন তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়।
দিন কয়েক আগে বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখানে তাঁর বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ছিল। ওই সময় কলকাতায় তাঁর সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দেখা হয়। তাঁদের মধ্যে কথা হয়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ছবি ফেসবুকে দিয়েছিলেন।
শোভন তৃণমূল ছেড়ে অনেক দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে তিনি 'নিষ্ক্রিয়' রয়েছেন বলে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে। কেন তাঁর এই অবস্থান, তা জানতে চেয়েছে বিজেপি। দলে কাজ করতে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা-ও জানার চেষ্টা করা হয়। কারণ তাঁর অনেক দাবিই মানা হয়েছে। কিছু দিন আগে তৈরি হয়েছিল বিজেপি রাজ্য কমিটি। সেখানে প্রথমে নাম ছিল না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ নিয়ে আপত্তি ছিল শোভনবাবুর। তাই তাঁর নাম সেই তালিকায় ঢোকানো হয়।
বিজেপির দাবি, এর থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা এবার ভাইফোঁটার সময় ঘটেছে। এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ভাইফোঁটা নিতে যাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে শোভনবাবুর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। প্রতি বছর নিয়ম করে ভাইফোঁটার দিন তিনি সেখানে যান। এমনকী গত বছরও গিয়েছিলেন। তখন তিনি তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে এবার যাননি। বিজেপির ব্যাখ্যা, শোভনবাবুর বার্তা খুব স্পষ্ট। তৃণমূলের জন্য তিনি সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর তাই তিনি এবার সেখানে যাননি। তিনি পুরোপুরি বিজেপিতে মনোযোগ দিতে চলেছেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার তিনি আরও বেশি করে দলকে সময় দেবেন। আরও বেশি করে দলের কাজে মনোযোগ দেবেন।