তিলোত্তমা ধর্ষণকাণ্ডের এক মাস কেটে গেলেও এখনও বিচার অধরাই। তিলোত্তমার পরিবারকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য এবার শক্তিশালী কণ্ঠের প্রয়োজন, যার ফলে মামলার আইনজীবী হিসেবে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে তিলোত্তমার পরিবারের পক্ষ থেকে এবার লড়বেন বিখ্যাত মানবাধিকার আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। কেন হঠাৎ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সরিয়ে তাঁকে বেছে নেওয়া হলো, সেই প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে।
তিলোত্তমার পরিবার যখন বৃন্দা গ্রোভারকে মামলাটি লড়ার অনুরোধ করেন, তিনি সেটি বিনামূল্যে লড়তে সম্মত হন। তার কারণ, মহিলাদের প্রতি ঘটে চলা নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার এক অদম্য ইচ্ছা। দীর্ঘ কর্মজীবনে নারী ও শিশুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বহু লড়াইয়ে তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
বৃন্দা গ্রোভার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টেফেনস কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি লাভের পর নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮৯ সালে তিনি ট্রায়াল কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন, যা পরে তাঁকে নিয়ে যায় হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দিকে। বিভিন্ন মানবাধিকার ও নির্যাতনবিরোধী মামলায় তিনি দেশের শীর্ষ আইনজীবীদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন।
বৃন্দা গ্রোভারের সবচেয়ে আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে একটি হলো বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলা। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় ধর্ষিত বিলকিস বানোর হয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে লড়েছিলেন, যেখানে তিনি গুজরাট সরকারের ১১ জন অপরাধীর মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁর দৃঢ় ও সাহসী পদক্ষেপ এই মামলায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।
তাছাড়া তিনি ১৯৮৭ সালের হাসিমপুরা হত্যা মামলা, ২০০৪ সালের ইসরাত জাহান হত্যাকাণ্ড, ২০০৮ সালের কান্দামাল খ্রিস্টান বিরোধী দাঙ্গা মামলা সহ বহু মামলা পরিচালনা করেছেন।