করোনাভাইরাসের জেরে তৈরী হওয়া পরিস্থিতিতে এবার পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি। মঙ্গলবারই সেই আবেদন গ্রহণ করে আদালত। পঞ্চমীতে অবশেষে পুজো কমিটিগুলিকে কিছুটা স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধি পুজো ও সিঁদূর খেলায় কোনও ছাড় দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে পুজো-অনুমতি রায়ে আংশিক পরিবর্তন করেছে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘বড় পুজোয় প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা বানাতে হবে। ৬০ জনের তালিকা হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪৫ জন। ৩০০ বর্গ মিটারের কম মাপের মণ্ডপের জন্য ১৫ জনের তালিকা। ১৫ জনের তালিকা হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১০ জন। উদ্যোক্তা ও স্থানীয়দের নামের তালিকা রোজ আপডেট করা যাবে।’
তবে দর্শকশূন্যই থাকবে এবারের পুজো মণ্ডপ। এই ব্যাপারে আগের রায়ই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। সিঁদুর খেলা ও অঞ্জলিরও অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট আগের রায় পুনর্বিবেচনা করে জানায়, নো এন্ট্রি জোনের ভিতরে ও মণ্ডপের বাইরে কয়েকজন ঢাকি শুধু উপস্থিত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া উদ্যোক্তাদের মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে আগে ২৫ জনের নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল। সেই তালিকাবড় পুজোর ক্ষেত্রে বাড়িয়ে ৬০ জন করা হয়েছে।
তবে ৩০০ বর্গ মিটারের কম মাপের মণ্ডপের জন্য ১৫ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে ১৫ জনের তালিকা হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১০ জন। এদিনের শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘কেন্দ্রের শেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী ধর্মীয় স্থানে যাওয়া যাবে।’ উত্তরে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘হ্যাঁ যাওয়া যাবে, কিন্তু দূরত্ব বজায় রেখে।’ তবে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, যে কারণে আগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার গুরুত্ব বুঝে রায় পরিবর্তন করা যায় না।