scorecardresearch
 

Calcutta High Court: সন্দেশখালির মাম্পিকে জামিন দিল হাইকোর্ট, গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যকে ভৎর্সনা আদালতের

জামিন পেলেন সন্দেশখালির মাম্পি দাস। রিট কোর্ট বা হাইকোর্টের একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁকে জামিন দিল আদালত। আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

Advertisement
সন্দেশখালির মাম্পি। কোলাজ সন্দেশখালির মাম্পি। কোলাজ
হাইলাইটস
  • জামিন পেলেন সন্দেশখালির মাম্পি দাস।
  • রিট কোর্ট বা হাইকোর্টের একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁকে জামিন দিল আদালত।

জামিন পেলেন সন্দেশখালির মাম্পি দাস। রিট কোর্ট বা হাইকোর্টের একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁকে জামিন দিল আদালত। আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সূত্রের খবর, শুক্রবার জামিন সংক্রান্ত মামলায় শুনানির শুরুতেই মাম্পিকে জামিন দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজি-কে ডেকে পাঠান আদালতে। তারপরই রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি।

গ্রেফতারির পর তা বেআইনি দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে। বিচারপতি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারীকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫এ ধারায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা-ও স্থগিত থাকবে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

শুক্রবার শুনানি চলাকালীন মাম্পির গ্রেফতারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর এদিন আদালতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কী করেছেন? ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তার পরেও তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিলেন? এমন গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?’

আরও পড়ুন

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাস থেকেই শিরোনামে রয়েছে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির আন্দোলনের অন্যতম মুখ পিয়ালিকে এই ইস্যুতে তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে তিনি গত মঙ্গলবার বসিরহাটের মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। মাম্পির আইনজীবীর দাবি, তিনি যখন আত্মসমর্পণ করেন সেই সময়ে জামিন অযোগ্য ধারার কথা বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া নিম্ন আদালতে কেস ডায়রিও পেশ করেনি পুলিশ, এমন অভিযোগ করা হয়েছে। পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস ভেবেছিলেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন পেয়ে যাবেন। কিন্তু তা তো মেলেনি, উল্টে তাঁর জেল হেফাজত হয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী। 

Advertisement

 

Advertisement