আরজি কর মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর আস্থা রাখতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। তবে সেই আর্জিতে এখনই সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেই মোতাবেক মামলা ওঠে।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষকে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, এই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে চলছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ধাপে ধাপে সুপ্রিম কোর্টকে জানানোও হচ্ছে। স্টেটাস রিপোর্টও জমা দেওয়া হচ্ছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তখন হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, নির্যাতিতার পরিবার তাহলে পৃথকভাবে কী জানাতে চাইছে সেটা শোনা যেতে পারে। তবে সিবিআই-এর দাবির বিরোধিতা করেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী। তাঁদের তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই মামলা চলছে এমন কোনও নির্দেশ নেই। তখনই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এদিকে দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, এই মামলা হাইকোর্টের ও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে চলছে কি না সেটা আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার। কারণ, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে চললে তাতে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। এরপর বিচারপতি ঘোষ জানান, প্রথমে নির্যাতিতার পরিবারকে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে আসতে হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবে এই বেঞ্চ। এই ব্যাখা নিয়ে আসার পরই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৫ জানুয়ারি।
এদিন শুনানির পর নির্যাতিতার বাবা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা হতাশ নন। তাঁদের মনে হয়েছে, তদন্ত ঠিক মতো এগোচ্ছে না সেই কারণে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। কোর্টের নির্দেশ মতো ব্যাখা নিয়ে আসবেন। তদন্ত যাতে আরও দ্রুত গতি পায় সেটা স্থির করতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ জামিন পাওয়ার পরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআই-এর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। তদন্তে যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে সেটাও নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা।