scorecardresearch
 

Suvendu Adhikari: তোলাবাজি মামলা: CID ও পুলিশের একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে CBI তদন্ত শুরু, নাম করে দাবি শুভেন্দুর

গত বছর মুম্বইয়ের ওরলি থানায় ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র নাভলানি অভিযোগ করেন যে তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা তোলা নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার কয়েক মাস আগে মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই-এর কাছে তদন্তভার হস্তান্তর করে।

Advertisement
সিআইডি-র ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই, দাবি শুভেন্দুর সিআইডি-র ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই, দাবি শুভেন্দুর
হাইলাইটস
  • এক্স হ্যান্ডেলে করা ওই পোস্টে শুভেন্দু কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরের লিঙ্কও পোস্ট করেন
  • ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র নাভলানি অভিযোগ করেন যে তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা তোলা নেওয়া হয়েছে

তোলরাবাজির অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি-র তিন আফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। আজ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে আগে দায়ের করা FIR সংক্রান্ত তদন্ত। রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় , সুমিত বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ওয়ারলি থানায় জিতেন্দ্র নাভলানি নামে একজন ব্যবসায়ী মুম্বইয়ের ওয়ারলি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে পশ্চিমঙ্গ সিআইডি এবং পুলিশের তিন অফিসার তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। এখন এই অভিযোগের তদন্তভার সিবিআই নিয়েছে।'

এক্স হ্যান্ডেলে করা ওই পোস্টে শুভেন্দু কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরের লিঙ্কও পোস্ট করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, 'কয়েক মাস আগে মহারাষ্ট্র সরকার ওই অভিযোগেক তদন্তভার ওরলি থানার থেকে সিবিআই-র কাছে স্থানান্তর করেছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে নাভলানি তাঁর অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি এবং এডিজিপি-র নামও বলেছিলেন।  আপনি যতই উঁচুতে থাকুন, আইন সর্বদা আপনার উপরে! ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে এটি আপনাকে ধরবে।'

গত বছর মুম্বইয়ের ওরলি থানায় ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র নাভলানি অভিযোগ করেন যে তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা তোলা নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার কয়েক মাস আগে মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই-এর কাছে তদন্তভার হস্তান্তর করে এবং ৪ অক্টোবর সিবিআই কলকাতার দুই সিআইডি অফিসার রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও রানিগঞ্জ থানার ইনচার্জ সুদীপ দাশগুপ্ত এবং অন্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।

নাভলানি অভিযোগ করেছেন যে কলকাতা পুলিশ তাঁর কোম্পানি বোনানজা ফ্যাশন মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে একটি নগদ উদ্ধারের মামলার তদন্ত করছে। দুবাই থেকে ফেরার পর যখন তাঁর স্ত্রীকে মুম্বই বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল তখন তিনি এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। গত জুলাইয়ে কলকাতা পুলিশের লুক-আউট সার্কুলারের ভিত্তিতে তাঁকে বিমানবন্দরে আটক করা হয় এবং পরবর্তীকালে সিআইডি অফিসার রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্য়ায় কলকাতা থেকে এসে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে যান। নাভলানি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে রাজর্ষির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাঁকে গ্রেফতারের হুমকি দেন। সুবিধা দেওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন। নাভলানিকে কলকাতার অন্য একজন সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে কনফারেন্স কলে কথা বলতে বাধ্য করেছিলেন রাজর্ষি, যিনিও একই দাবি করেছিলেন। টাকা দিতে রাজি হওয়ার পর অফিসার নাভলানির স্ত্রীকে ছেড়ে দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে রাজর্ষিরা ২০ লাখ টাকা নিয়েছে।

Advertisement

মে মাসে রানিগঞ্জে নাকাবন্দির সময় ৩ কোটিরও বেশি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ অভিযোগ করেছে যে এই টাকা নাভলানির কোম্পানি বোনানজা ফ্যাশনের এবং কোম্পানির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও আনে তারা। নাভলানি অবশ্য দাবি করেছেন যে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement