রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের মাইনে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিধানসভায় বাংলা দিবসের প্রস্তাবনা পাশের পরে তিনি এই ঘোষণা করেন। প্রতি স্তরেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে। এখন বিধায়করা ১০ হাজার, প্রতিমন্ত্রীরা ১০ হাজার ৯০০ এবং মন্ত্রীরা ১১ হাজার টাকা বেতন পান। ৪০ হাজার টাকা বেতন বাড়ার পর বিধায়কদের বেতন হল ৫০ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীদের বেতন হল ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। আর মন্ত্রীরা পাবেন ৫১ হাজার টাকা।
ভাতা এবং কমিটির বৈঠকে যোগদানের জন্য সব মিলিয়ে বিধায়করা মোট ৮১ হাজার টাকা পেতেন। এ বার থেকে তাঁরা মোট পাবেন ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা। পূর্ণ মন্ত্রীদের মোট বেতন ও ভাতা ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, সেটা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীদের মোট বেতন ও ভাতা-সহ পেতেন ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯০০ টাকা। এবার তা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা।
এদিকে, আজই পয়লা বৈশাখকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা দিবস ও পয়লা বৈশাখকে রাজ্য সঙ্গীত করার জন্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করল রাজ্য সরকার। যদিও এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি ও রাজ্যপালকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে প্রস্তাব পাশ করানো হলেও তা রাজ্যপালের অনুমোদন পাবে না বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একতরফাভাবে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, 'অন্য রাজ্যেও রাজ্য সঙ্গীত আছে। আমি নবান্নে বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। এতদিন করা হয়নি কারণ ২০ জুন দিনটিও পালন করা হয়নি। ২০ জুন কেউই জানত না, কেউ শুনিনি যে ওই দিনটি বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস। রাজ্য সরকার কোনও নোটিফিকেশন করেনি। কেন্দ্র করেছিল। ২০ জুন বাংলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।'
এরপরই তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, 'একটা রাজনৈতিক দলের মাথায় বলে দিলাম, করে দিলাম, এটা চলবে না। সবকিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সবকিছু চাপিয়ে দিলে সহ্য করব না। বিরোধী দলের নেতা বলেছেন, রাজ্যপাল সই করবেন না। আমি বলছি, রাজ্যপাল সই না করলে কিছু যায় আসে না। আমরা পালন করব। দেখব কার শক্তি বেশি, দেখি কার জোর বেশি। রাজ্যপাল পালন না করলে রাজ্য সরকার করবে।'
এরপরই বিজেপি ও সিপিএমকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা আন্দোলনে যাদের কোনও ভূমিকা ছিল না, তারা আজ এনিয়ে কথা বলছে। গান্ধীজির প্রাণ যারা কেড়েছিল , নেতজিকে যারা তোজোর দালাল বলেছিল, তারা আজকে জ্ঞান দিচ্ছে। আমরা উগ্র রাজনীতি করি না।'