ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড স্ট্রেচের মধ্যে বেশিরভাগ স্টেশনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই রুটে বাণিজ্যিকভাবে মেট্রো চালানোর কথা। এই লাইনে মেট্রো চালু হলে, দেশে প্রথমবারের মতো নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চলবে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কলকাতাবাসী। হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেডে যাতায়াতেরও সুবিধা হবে।
ইতিমধ্যেই স্টেশনে লাগানো হয়েছে AFC-PC গেট। মোট আটটি AFC-PC গেট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে চারটি গেট দ্বিমুখী হবে যা স্টেশন কর্মীদের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে। এই চারটি দ্বিমুখী গেটের মধ্যে দুটি দিয়ে হুইলচেয়ার ঢুকবে। সাধারণ যাত্রীরাও এই দুটি গেট ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি চারটি গেটের মধ্যে দুটি আলাদাভাবে যাত্রীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য থাকবে।
এই আধুনিক গেটগুলো দিয়ে প্রতি মিনিটে ৪৫ জন যাতায়াত করতে পারবে। এই গেটে যাত্রীরা তাদের মেট্রো টোকেন বা স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করতে পারবে। এই গেটগুলিতে QR কোড স্ক্যানারও এমবেড করা আছে যাতে QR কোড ভিত্তিক টোকেন থাকা যাত্রীরা এই গেট দিয়ে সহজেই এই স্টেশনে প্রবেশ/প্রস্থান করতে সক্ষম হবে।
হাওড়া মেট্রো স্টেশন এর গভীরতা হবে ৩৩ মিটার, যা মুলত কলকাতা হাওড়া কে সংযোগ করবে। যার একদিকে থাকবে হাওড়া ময়দান ও অন্যদিকে এটি সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যাবে। এই east-west কলকাতা মেট্রোর key স্টেশন হবে হাওড়া মেট্রো স্টেশন। কারন হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনকে যুক্ত করবে, যেখান থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রীরা খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন।
অনুমান করা হয় দৈনিক প্রায় ৬ লাখ যাত্রী এই মেট্রোস্টেশন এর মাধ্যমে যাতায়াত করবেন। বলাবাহুল্য এই হাওড়া মেট্রো স্টেশনের একটি অংশ যাবে গঙ্গার অন্যতম শাখা নদী হুগলি নদীর নিচে দিয়ে, যার মধ্যে থাকবে দুটি টানেল একটি up ও একটি down ট্রেনের জন্য যার দৈর্ঘ্য হবে ৫২০ মিটার দীর্ঘ ও চওড়া মেট্রো টানেল ভারতের বুকে এই প্রথম।