রাজ্যে ৯ কেন্দ্রে আজ চলছে শেষ দফার ভোট। আর সাকলে ভোট শুরু হতেই নানা জায়গা থেকে আসছে অশান্তির খবর। বাদ গেল না বরানগরও ৷ রাজ্যে লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বরানগরে বিধানসভা উপনির্বাচনও হচ্ছে এদিন। আর এই ভোট ঘিরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে গেলেন সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য এবং স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলর ৷
শনিবার বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন চলাকালীন সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র কলেজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানেই বরাহনগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদারের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাঁর। দু’জনকে নিরস্ত করতে দৌড়ে আসেন দু’দলের কর্মীসমর্থকেরা।
এদিন ঝামেলার সময় একে অপরের দিকে তেড়ে মারতেও গেলেন দু'জন ৷ তৃণমূল কাউন্সিলরের কলার চেপে ধরতে দেখা যায় বর্ষিয়ান সিপিএম প্রার্থীকে ৷ পালটা তাঁকে মারতে তেড়ে যান তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা ৷
বাম প্রার্থী তন্ময়ের অভিযোগ, তিনি বনহুগলি এলাকার ওই বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে দেখেই নাকি ‘চোর-চিটিংবাজ’ বলে চিৎকার করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা। তন্ময় ভট্টাচার্যের দাবি, “আমায় দেখে কাউন্সিলর বললেন, আপনি এখানে কেন? আমি পাল্টা বললাম আমি তো প্রার্থী, কিন্তু আপনি এখানে কেন? বলছে চোর-চিটিংবাজ। এখান থেকে চলে যান। বললাম, কী চিটিংবাজি করেছি? জেল তো খাটছি না। তার পরেই আমাকে ঘিরে নিগ্রহ করল।”
তাঁর দাবি, পুরসভা ভোটে তৃণমূল রিগিং করে জিতেছে। এবার সেই সুযোগ পাচ্ছে না। তাই সিপিএম এজেন্টকে ধমক দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁকে বাধা দেওয়া হলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। তবে ছেড়ে কথা বলছেন না তন্ময় ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “তৃণমূলের জোর কমছে। ওদেরও ঘুষির জোর কমছে। ওরা আমাকে বলেছে, ২ মিনিট লাগবে বুঝে নিতে। আমিও বলেছি, তোমার যদি ২ মিনিট লাগে, আমারও ২ সেকেন্ড সময় লাগবে।”