কলকাতা-হাওড়ার গঙ্গার জলে কুমিরের আনাগোনা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকের দাবি। যেকারণে লাটে উঠেছে গঙ্গাস্নান। লোকজনের দাবি, তাঁরা কুমির জাতীয় প্রাণী দেখেছেন জলে। এসব খবর চাউর হতে সময় লাগে না। সত্যি-মিথ্যে যাচাই পরের কথা, আপাতত আতঙ্কের পারদ চড়চড় করে উর্দ্ধমুখী হয়েছে। এখন গঙ্গার বুকে কুমিরের আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছে প্রশাসনের। জোরকদমে চলছে তল্লাশি।
এদিকে শনিবার থেকে বনদফতরের টিম জোরকদমে তদন্তে নেমেছে। কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে। বন দফতরের ধারণা, কুমিরের মতো দেখতে হলেও ওই প্রাণীটি ঘড়িয়াল। আহিরীটোলা ফুলপট্টি ঘাটের কাছে কুমিরের মতো একটি প্রাণী গঙ্গায় দেখতে পান ক'য়েকজন। অনেকেই জানান গঙ্গায় কুমির ভাসছে। তখন আর জলে নামার সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। হাওড়ার এক বাসিন্দা রোজ দুপুরে গঙ্গায় স্নান করতে যান। ঘাটে নামার আগে হঠাৎ কুমির দেখতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টিতে রাজ্যের বন সচিব বিবেক কুমার 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'কে বলেন, 'কলকাতার গঙ্গায় কুমির রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও কনফার্ম খবর নেই। তবে গত দু'তিন দিন ধরে একটা ঘড়িয়ালকে হুগলির ভদ্রেশ্বর এবং কলকাতার আশপাশে গঙ্গায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে ওয়াইল্ডলাইফ বিভাগের রেঞ্জ অফিসাররা ইনস্পেকশন করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। ঘড়িয়াল খুব একটা বিপজ্জনক নয়। এরা মূলত নদীর মাছ খায়। একমাত্র ভয় পেলে তবেই তারা মানুষকে আক্রমণ করে। করলেও গেলে না, কামড়ায়।'
কলকাতা পুলিশের রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, তাঁরা মৎস্যজীবীদের কাছে জানতে পেরেছেন খিদিরপুরের কাছে গঙ্গায় কুমির দেখা গিয়েছে। তখনই পুলিশ বন দফতরকে খবর দেয়। বন দফতরও জানায়, ওটা সম্ভবত ঘড়িয়াল।