শনিবারই স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের। এর জেরে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার জেরে আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তেমনই সতর্ক করা হয়েছে চাষীদের। ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলেও সাবধান করা হয়েছে। প্রথমে নিম্নচাপ হিসাবে থাকলেও, পরে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় জাওয়াদ। পরে আরও শক্তি বাড়ি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। শনিবারই অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে প্রবেশ করবে। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আগামী ৪ ও ৫ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে আভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
বেশ কিছু জেলায় সতর্কতা
ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, ঝাড়গ্রামে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। উপকূলবর্তী এলাকাগুলির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। মাসদুয়েক আগেই অতিবৃষ্টির জেরে বাংলার একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সেই আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। তাই আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে আগেভাগেই বিভিন্ন জেলায় তৈরি রাখা হয়েছে এনডিআরএফ টিমকে। এর মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ২টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছে ১টি, উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছে ১টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টি, হুগলিতে ১টি এবং নদিয়াতে ১টি।
শীতের দেখা নেই
ডিসেম্বরের শুরুতেই কনকনে শীতের দেখা নেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। পারদ নামার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আগামী ২-৩ দিন রাতের তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। কবে থেকে তাপমাত্রা নামতে পারে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি হাওয়া অফিস। ফলে শীতের আমেজ এখনই উপভোগ করতে পারবেন না দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।