বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। শহিদ মিনারে ৩৭৪ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। ৩৫৬ ঘণ্টা ধরে অনশনও করছেন একাধিকজন। এই পরিস্থিতিতে শহিদ মিনার থেকে ডিএ মঞ্চ তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার সকাল থেকে ডিএ মঞ্চ খুলে নেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে সমালোচনা মুখর রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে ধরনা দিচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। হাইকোর্টের নির্দেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে অনুমতি নিয়েই সেখানে বসে আছেন আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, রবিবার রাতে সেনার তরফে সরকারি কর্মীদের জানানো হয়, এই মঞ্চ তুলে দিতে হবে। একটি নোটিশও ধরানো হয়। সরকারি কর্মীদের দাবি, তাঁরা সময় চাইলেও তাঁদের কথা শোনা হয়নি।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে শহিদ মিনারে সেই মঞ্চ খোলার কাজ শুরু হয়। যদিও সরকারি কর্মীরা সেইখানেই অবস্থানে অনড়। তাদের তরফে ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'রাজ্য সরকারের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তারাই চক্রান্ত করে এই কাজ করছে। তবে আমরাও অবস্থানে অনড়। আমরা এই জায়গা ছাড়ব। জায়গাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলুক, এটা চাই। যদি তারা তা না করে তবে আমরা কোর্টের শরনাপন্ন হব।'
তাহলে কি আর অনশন করবেন না সরকারি কর্মীরা ? ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'আন্দোলন বা অনশন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্ন নেই। এই সরকার কতটা অমানবিক চা প্রমাণ হয়ে গেল। এতজন মানুষ অনশন করছেন, তার মধ্যেই জোর করে মঞ্চ খুলে নেওয়া হল। তবে অনশন চলবে। যতদিন ডিএ-সহ আরও ৩ দাবি না মিটছে ততদিন আমাদের অনশন চলবে। প্রয়োজনে রাতভর খোলা আকাশের নিচে বসে থাকব।'
এই নিয়ে আর এক আহ্বায়ক নির্ঝর কুণ্ডু বলেন, 'পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের প্ররোচনায় মঞ্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে। আর এই কাজটি করা হয়েছে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীর নাটুকে ধরনার পারমিশন নিতে যাওয়ার সময়, সরকার আর কিছু আধিকারিকদের মদতে। পুলিশই মিলিটারির কাছে গিয়ে মঞ্চ তোলার জন্য দরবার করে এসেছে।'