রবিবার শহর কলকাতায় মর্মান্তিক ঘটনা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল স্ত্রী এবং শাশুড়ির। ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুর এলাকায়। জানা যাচ্ছে, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ির পাশে একটি ঝুলন্ত লোহার তারে ভেজা জামাকাপড় মেলতে যান ইজহার আখতার। তাঁকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে তাড়াতাড়ি করে বাঁচাতে যান ইজহার শাশুড়ি মুন্তাহা বেগম। শক খান তিনিও। মা এবং স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে যান ইজহারের স্ত্রী খায়রুলন্নেসা। ঘটনায় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় মা এবং মেয়ের।
ঘটনাটি ঘটেছে 37/2D একবালপুরের লেনে। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি মূলত বস্তি ঘিঞ্জি এলাকা। সেখানকার বাসিন্দারা মূলত রাস্তার সামনেই দড়ি খাটিয়ে জামা কাপড় শুকোতে দেন। ছুটির সকালে সেইভাবেই জামকাপড় মেলতে ইজহার আখতার। হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তারে হাত দিতেই আটকে যায় শরীর। আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ইজহারকে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গিয়েছে, শাশুড়ি এবং স্ত্রীয়ের সঙ্গে একবালপুরের বাড়িতে থাকতেন ইজহার। এমন দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কীভাবে পাঁচিলের কাছাকাছি চলে এসেছিল হাইভোল্টেজ তার, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ঝুলন্ত ওই তারে কীভাবে কারেন্ট চলাচল করছিল তা জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিইএসসির একটি দল। গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তারে হাত দিতেই আটকে গিয়েছিল জহার আখতারের শরীর। কিছু না ভেবেই তাঁকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন শাশুড়ি মুন্তাহা বেগম। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আর মায়ের মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরোতে দেখে জড়িয়ে ধরেন মেয়ে খাইরুলন্নেসা। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন তাঁদের দেখতে পান, শরীরে তার ঝুলছিল তাঁদের। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মুন্তাহা, ইজহার ও খাইরুলন্নেসাকে উদ্ধার করে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুনতাহা ও খাইরুলন্নেসাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।