আড়িয়াদহ মামলায় প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে প্রাণনাশের হুমকি। সাংসদের দাবি, তাঁকে দুবার ফোন করে বলা হয়েছে, জয়ন্ত সিংকে মুক্তি না দিলে গুলি করে দেব। সৌগতর আরও দাবি, মঙ্গলবার মাঝরাতে তিনি দুটি ফোন কল পান। তাঁকে আড়িয়াদহে আসতে নিষেধ করা হয়। সৌগত ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, 'আড়িয়াদহ মামলার প্রধান অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংকে মুক্তি না দিলে আমাকে গুলি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি রাত ৩টে ২১ মিনিটে একটি কল পেয়েছিলাম এবং হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ফোন করা ব্যক্তি বলেছে যে জয়ন্তকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমাকে উদ্যোগ নিতে হবে, অন্যথায় তারা আমাকে গুলি করবে। সাত মিনিট পরে ৩টে ২৭ মিনিটে আবার ফোন করে একই হুমকি দেয়। আমি তাদের বলেছি য়া পারিস কর। আমাকে বলেছে আড়িয়াদহে না যেতে। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেই ফোন নম্বর আমি ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছি।'
রায় দাবি করেছেন যে যখন তিনি ওই নম্বরটিতে কলব্যাক করেছিলেন, তখন নম্বরটি ওয়েটিং ছিল এবং অডিও বার্তাটি দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় বলা হয়েছিল। যেটা তিনি বুঝতে পারেননি। সৌগত এটাও জানিয়েছেন যে পুলিশ এখনও পর্যন্ত এনিয়ে কিছু জানায়নি। জয়ন্ত সিং-এর মতো অপরাধীদের প্রতি মনোভাবের জন্য পুলিশের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সৌগত। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা রুজু করা হয় না? তাই তারা জামিন পেয়ে যায়। খুনের হুমকির পরে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কি জানিয়েছেন? জবাবে দমদমের সাংসদ বলেন, তিনি বর্তমান নিরাপত্তায় খুশি। নিরাপত্তা বৃদ্ধি জনসাধারণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে।
আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাবে এক জনকে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রেখে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে জয়ন্ত সিং নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-ও। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, জয়ন্ত সিংরা দলবল নিয়ে এক জনকে চ্যাংদোলা করে মারছে। লাঠি দিয়ে মারছে। জয়ন্ত সিং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্র মদন মিত্র-র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও মদন মিত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।