বর্ষা পড়তেই ডেঙ্গির চোখরাঙানি শুরু হয়েছে শহরে। প্রতিবছরই ডেঙ্গির দাপট শুরু হয়, এবছরও হয়েছে। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবছর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৯০০ জন। শুধুমাত্র গত দু'সপ্তাহেই আক্রান্ত হয়েছেন ২০০জনেরও বেশি। সাধারণত আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ডেঙ্গি বাড়তে থাকে।
গত সপ্তাহে বৃষ্টির পর রবিবার উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া ছিল। পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া যদি এক সপ্তাহ থাকে, তাহলে মশার প্রজনন বহুগুণ বেড়ে যাবে। পতঙ্গবিদরা জানিয়েছেন, এডিস ইজিপ্টি মশা ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রাথমিক ট্রান্সমিটার। ওই মশা এক চামচ জলেও ডিম পাড়তে পারে। মশার ডিম বা লার্ভা যদি থাকে, তা ধ্বংস করা নিশ্চিত করতে সমস্ত বাসিন্দাদের প্রতি সপ্তাহে একবার তাদের ঘর পরিষ্কার করা উচিত।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এর ওয়েবসাইট বলছে, "ডেঙ্গু মশা ঘরের ভেতরে এবং আশেপাশের জায়গার জল ভর্তি পাত্রে ডিম পাড়ে (এর মধ্যে রয়েছে অব্যবহৃত বোতল, পাত্র, ফেলে দেওয়া বর্জ্য, টায়ার ইত্যাদি... যা জল ধরে রাখে। )।"
ওয়েবসাইটে আরও রয়েছে, “এডিস মশা দ্বারা আক্রান্ত এলাকাগুলির জন্য সর্বোত্তম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হল মশার ডিম পাড়ার স্থানগুলি নির্মূল করা – যাকে উৎস হ্রাস বলা হয়। ডিম, লার্ভা এবং পিউপায়ের সংখ্যা কমিয়ে আনার ফলে উদীয়মান প্রাপ্তবয়স্ক মশার সংখ্যা এবং রোগের সংক্রমণ হ্রাস পাবে।”