ফের ডেঙ্গির বলি (Dengue Death)। এবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৮ বছরের এক বলিকার। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির নায়ারণপুরে। বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওযার্ডের বাসিন্দা ছিল ওই বালিকা। বিষয়টি জানাজানির পরেই খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন পুর-কর্তারা। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে।
জানা গিয়েছে, ঋত্বিকা সাউ নামে বাগুইআটির ওই বালিকা বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। আজ ভোরে মৃত্যু হয় তার। এই বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলরের দাবি, ওই বালিকা ডেঙ্গিতে ভুগছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে নাকি পুরনিগমে কিছুই জানায়নি বালিকার পরিবার। ঋত্বিকার মৃত্যুর জেরে রাজ্যে এই মরশুমে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৬।
বিগত কয়েক মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের ডেঙ্গি গ্রাফ। পরিসংখ্যান বলছে, মঙ্গলবার রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩২ জন। সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ৩৪৮। মঙ্গলবার টেস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয় রাজ্যে। এদিন মোট ৬,১১৪ জনের ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়। কিন্তু সোমবার টেস্টের সংখ্যাটা ছিল ২,৩৭১। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্য আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার (Dengue Update West Bengal)।
এই নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকও করেন রাজ্যে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পুর ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং কলকাতায় ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ গভীর করেছে। তাই ডেঙ্গি মোকাবিলা করতে, এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এক্ষেত্রে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্চে, যে জেলাগুলিতে ডেঙ্গি বাড়ছে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ দল। কোন কোন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, কী কী টেস্ট করা হচ্ছে, ডেঙ্গির ভাইরাস পাওয়া গেলে তার চিকিৎসা ব্যবস্থাই বা কেমন, সবই খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করবেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর ডেঙ্গি মোকাবিলায় ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। অন্যদিকে আজই ডেঙ্গি নিয়ে নিজের ওয়ার্ডে সচেতনতা অভিযান চালান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
আরও পড়ুন - বাংলায় আজ ৩৮টি ট্রেন বাতিল, দেশজুড়ে ১৫৬টি, রইল তালিকা