কৃষি আইন পক্ষেই ফের গলা ফাটালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার ঘোষণার মাধ্যমে তিন কৃষি আইন ফিরিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থের জন্য আনা হয়েছিল। এদিন ইকোপার্কে দিলীপ ঘোষের সামনেই খেলা হবে নামে টি-শার্ট পরে শরীরচর্চা করেন একদল তৃণমূল কর্মী। দিলীপ ঘোষকে দেখে তাঁরা খেলা হবে বলে স্লোগান দেন। যা দেখে পাল্টা ত্রিপুরা কাপ হবে বলে কটাক্ষ করেন দিলীপও।
কৃষি আইন নিয়ে দিলীপ
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থেই ছিল। কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমরা বোঝাতে পারিনি। যে কৃষকরা ছিলেন তাঁরা অধিকাংশ ভাগচাষী। কৃষকরা যেদিন বুঝবেন, সেদিন আবার এই আইন হবে। সরকার কোনওরকম সংঘর্ষে যেতে চান না। সরকার অনেক চেষ্টা করেছে। গরীব কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। মান্ডি থেকে মুক্ত করে যে কোনও জায়গায় বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দেশ যখন জাগবে, আবার আইন হবে। নির্বাচন তো গোটা বছর চলে। যারা নির্বাচন নিয়ে ভাবে তাদের মাথায় নির্বাচন রয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা নিয়ে ওরা স্বপ্ন দেখুক। তাতে তো পয়সা লাগে না। তৃণমূল ওখানে কুপোকাত হবে। ফিরহাদ হাকিম জল জমা নিয়ে টেনশনে ছিলেন। একটু ঘুরে আসুক। গোয়াও ঘুরে আসুক। এখানকার মতো হিংসা নেই ওখানে।
কৃষি আইন প্রত্যাহার কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কেন্দ্র সরকার প্রত্যাহার করে তিন বিতর্কিত কৃষি আইন। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর খুশির জোয়ারে ভাসছেন আন্দোলনরত কৃষকেরা। বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছেন তাঁরা। নভেম্বরেই আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। কৃষক আন্দোলনের সফল প্রথমে ট্যুইট এবং পরে কলম ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আন্দোলনরত কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে শুরু থেকেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের এই আইনের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছিলেন। বারবার আন্দোলনস্থলে ছুটে গেছেন তাঁর দলীয় নেতারা।