অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। তা নিয়ে এদেশের মানুষের মন ভারাক্রান্ত। তবে খুশি বাংলাদেশ। অন্তত ফাইনাল ম্যাচের দিনে সেই ছবিই দেখা গিয়েছে। এবার তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, বাংলাদেশ ভারতের হারে যদি এত উচ্ছ্বসিত হয় তাহলে তার ফল পাবে।
bangla.aajtak.in-কে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলাদেশে ভারত বিরোধী গ্রুপ আছে। পাকিস্তানেও আছে। তাদের কাজই হল ভারত বিরোধিতা করা। বাংলাদেশে যে সরকার আছে, তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ভালো। তাই বাংলাদেশের ভারত বিরোধিরা এখন দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে পারছে না। কিন্তু, ওখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। আর যারা পরাজিত জাতি তারা ভারত বিরোধিতা করছে। তাই তো টিম ইন্ডিয়া হারার পরে তারা আনন্দ উৎসব করেছে। বাংলাদেশ শুধু কেন, পাকিস্তানও করে এমন। তবে সেই পাকিস্তানের আজ কী অবস্থা সেটা তো সবর জানা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে ভারত দাঁড়িয়েছিল। বর্তমানেও ভারত সরকার বাংলাদেশকে নানা ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তারপরও কেন সেই দেশের মানুষদের একটা অংশ ভারতের বিরোধিতা করছে ? এই প্রশ্ন তোলেন অনেকে। তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলাদেশ ভারতের অবদানের কথা মনে রাখে না। ওদের মধ্যে অকৃতজ্ঞতা আছে। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের শাস্তি দিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার। সবাই যে ভারতের সমর্থন করবে এমনটা নয়। আজ ভারতের বিরোধিতা করছে ওরা, এর ফল পাবে। দিনে দিনে বুঝতে পারবে। পাকিস্তান যেভাবে পাচ্ছে। পাকিস্তানের আজ কী আছে ? কাঙাল হয়ে আছে। ৭০ বছর ধরে ভারতের বিরোধিতা করে পাকিস্তান কী পেল! ভারতের বিরোধিতা করে কোনও দেশ সুস্থ থাকতে পারেনি। তাদের অস্তিত্বও সংকটের পড়বে। ভারতের খেয়ে, পড়ে যদি বাংলাদেশ আজ এমন করে তাহলে তাদের ফল ভুগতেই হবে।'
নেটিজেনদের অনেকের প্রশ্ন, চিকিৎসার জন্যও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে কলকাতায় আসতে হয়। সেই দেশে বড় বা ভালো হাসপাতালের অভাব আছে বলেই তো আসতে হয়! তারপরও কেন ওদের এমন আচরণ? এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলাদেশ কোন মুখে ভারতের বিরোধিতা করছে? সল্টলেক থেকে শুরু করে কলকাতার সব বড় বড় হাসপাতালে বাংলাদেশ থেকে লোক আসে চিকিৎসার জন্য। এখানে বিয়ের বাজার করে নিয়ে যায়। এখান থেকে শাড়ি গেলে তবেই ওরা পরে। চাল, ডাল, তেল, সাবান, জামা-কাপড় সবই তো ভারত থেকেই বাংলাদেশে যায়। তবেই ওরা ঠিক থাকে। যাদের জন্ম হিংসার মধ্যে তারা সারাজীবন হিংসা করে যাবে। এটা ওদের অস্তিত্বের সংগ্রাম। ভারত বিরোধিতা করে ওরা আনন্দ পাচ্ছে। লাইমলাইটে আসছে। একসময় ভারতের অনেকেই পাকিস্তান জিতলে বোম ফাটাত। আজকাল কি কেউ করে? এখনও আছে ভারতে এমন গোষ্ঠী। যারা পাকিস্তান জিতলে বোম ফাটায়। সেখানে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ২০ কোটি লোকের মধ্যে ৪ হাজার লোক ভারতের হারে আনন্দ করবে, সেটা হয়েছে। তবে কাম্য নয়। এর ফল বাংলাদেশকে ভুগতে হবে।'
প্রসঙ্গত, গত রবিবার গুজরাতে ভারত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেই ম্যাচে হারে রোহিত শর্মার টিম। তবে বাংলাদেশ এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। সেই দেশের অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করেন। এক জন যেমন লিখেছিলেন, 'ইন্ডিয়া হারায় বাংলাদেশে ইদ পালিত হচ্ছে।' আর একজন বলে, 'আমরা ভারতের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার কেউ চার ছয় মারলে আনন্দ হচ্ছ। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের শাকিব ও শান্তরা চার-ছয় পেটাচ্ছে।'