RG Kar Doctor Protest Transfer: আরজি করের ঘটনা নিয়ে চলছে তোলপাড়। তার মধ্যেই বদলি হাসপাতালের ৪২ জন অধ্যাপক ও চিকিৎসককে বদলির অভিযোগ উঠেছে। এই 'রিশাফেলে'র পরেই নতুন বিতর্ক জন্ম নিয়েছে। আরজি করের চিকিৎসক নির্যাতন-খুনের ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনের ঝড় উঠেছে। এরই মধ্যে এই বদলির ঘটনায় তুঙ্গে বিতর্ক।
ট্রান্সফার অর্ডার: View PDF
বদলি হওয়া ৪২ জনের মধ্যে দু'জন ডাক্তার রয়েছেন - ডাঃ সঙ্গীতা পাল এবং ডাঃ সুপ্রিয় দাস। এঁরা দু'জনেই আরজি করের ঘটনার দিন, ৯ অগাস্ট হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। ঠিক কী কারণে তাঁদের হঠাৎ ট্রান্সফার, সেই বিষয়ে জানা যায়নি।
এই বদলির অর্ডারের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের সংগঠন এবং বিজেপি প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটিকে ষড়যন্ত্র এবং সিনিয়র হেলথকেয়ার প্রফেশনালদের 'ভয় দেখানোর চেষ্টা' বলেও দাবি করছেন তাঁরা।
বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এদিন ট্রান্সফার অর্ডার হাতে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, 'হিটলার, স্ট্যালিন, কিম জন উনের থেকেও এগিয়ে গিয়েছেন।' তিনি বলেন, ন্যায় প্রদান না করে টিএমসি ৪২ জন চিকিৎসকের দূরে বদলি করা হয়েছে। এই নির্দেশকে তিনি 'তালিবানি' বলে অভিযোগ তোলেন। দেখুন তিনি কী বলেছেন:
#WATCH | On rape and murder of woman resident doctor at RG Kar Medical College and Hospital, BJP leader Shehzad Poonawalla says, "...Everyone in this country is outraged and all are demanding only one thing that there should be justice. But instead of giving justice, the agenda… pic.twitter.com/PP1a93NCck
— ANI (@ANI) August 17, 2024
ইউনাইটেড ডক্টরস ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশন টুইটে জানিয়েছে, 'আমরা @MamataOfficial @BengalGovernor আমাদের প্রতিবাদকে সমর্থনকারী ফ্যাকাল্টির অন্যায়ভাবে ট্রান্সফারের তীব্র নিন্দা জানাই। এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ আমাদের ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবিকে থামাতে পারবে না। আমরা আমাদের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।'
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) ২৪ ঘণ্টা দেশব্যাপী কর্মবিরতি ডেকেছে। তার ২৪ ঘণ্টার আগেই এই বদলি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বেশিরভাগ স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা করা হয়। তরুণী চিকিৎসকের নির্যাতন ও হত্যার বিচার এবং চিকিৎসকদের কাজের পরিবেশের উন্নতির দাবিতে বনধ ডেকেছেন তাঁরা। .
এই বদলির আদেশের প্রতিক্রিয়ায়, একজন প্রতিবাদী চিকিৎসক, ডাঃ কিঞ্জল নন্দ এই সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, 'সিনিয়র অধ্যাপক ও চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে। যাঁরা আমাদের প্রতিবাদে সাপোর্ট করেছিলেন তাঁদের বদলি করা হয়েছে। আমরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি। আমরা জানি না এর পিছনে কী ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের সঙ্গে যাঁরা সিনিয়র অধ্যাপক ছিলেন, তাঁরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের... আমাদের সমর্থন করেছিলেন।'
'আমরা বিজ্ঞপ্তিটি দেখেছি। ডাঃ সঙ্গীতা পাল আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি এখানে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেন বদলি করা হয়েছে তা আমরা জানি না। ব্যাপারটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আমরা সরব হয়েছি এবং আমরা বিচার চাই,' বলেন ডাঃ কিঞ্জল নন্দ।
চিকিত্সক এবং অধ্যাপকদের বদলির আদেশের সমালোচনা করে, বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে 'সিনিয়র ডাক্তারদের বশ্যতা স্বীকার করতে ভয় দেখানোর মরিয়া প্রচেষ্টা' চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।
'১৬ অগাস্ট, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ট্রান্সফার অর্ডারের একটি আট পৃষ্ঠার দীর্ঘ লিস্ট জারি করেছে... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা এবং কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ। এই দু'টিই বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল। তাঁর ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে,' টুইট করেছেন অমিত মালভিয়া।
তিনি আরও বলেন, 'এখনও পর্যন্ত, এই দুই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ৫ জন অধ্যাপককে শিলিগুড়ি, তমলুক, ঝাড়গ্রামের কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এটি সিনিয়র চিকিৎসক সম্প্রদায়কে বশ্যতা স্বীকার করতে ভয় দেখানোর একটি মরিয়া প্রচেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকাতে চাইছেন?'