scorecardresearch
 

Mamata-Suvendu: বিধানসভায় মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু, মুখ্যমন্ত্রী বললেন ‘ডোন্ট টক রাবিশ…’

গত সপ্তাহেই বিধানসভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, 'নন্দীগ্রামের ঘটনা ভুলে গেছেন? ২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে জিতে নিয়েছেন, আমায় হারিয়ে দিয়েছেন।' একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও নাম না করে আক্রমণ করেন বিরোধী দলেনতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনও ফের একবার বিধানসভায় বিতন্ডায় জড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা।

Advertisement
গত সপ্তাহেই বিধানসভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহেই বিধানসভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


গত সপ্তাহেই বিধানসভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন,  'নন্দীগ্রামের ঘটনা ভুলে গেছেন? ২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে জিতে নিয়েছেন, আমায় হারিয়ে দিয়েছেন।' একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও নাম না করে আক্রমণ করেন বিরোধী দলেনতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনও ফের একবার বিধানসভায় বিতন্ডায় জড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। 

সোমবার মণিপুর নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা।  হিংসাদীর্ণ মণিপুরের ঘটনায় সোমবার বিধানসভায় নিন্দাপ্রস্তাব আনে তৃণমূল সরকার। এই নিয়ে বিধানসভায় প্রথমে সরব হন বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, ‘‘মণিপুরের ঘটনা সেই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য রাজ্য নিয়ে আলোচনা করার অধিকার নেই এই রাজ্যের। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয় এটি। তাই এই বিষয় নিয়ে আলোচনার অধিকার নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই আলোচনা হচ্ছে।’’ স্পিকারের উদ্দেশে  শুভেন্দু বলেন, “আপনি নিজেই যেখানে বলেন, এটা বিচারাধীন মামলা, আলোচনা করা যাবে না, তাহলে আমাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হলে, মণিপুর ইস্যুতে কেন আলোচনা। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।” তখনই ক্ষিপ্ত হন স্পিকার। তিনি বলেন, “আপনি স্পিকারের চেয়ারকে হুমকি দিতে পারেন না।” মুখ্যমন্ত্রী এরপর বলতে উঠেই, শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, ‘ডোন্ট টক রাবিশ…’। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশের জ্বলন্ত ইস্যু।’’ সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রোজ এমন হচ্ছে।’’ প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাবিশ।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হতেই বিধানসভায় ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। শেষে ধ্বনি ভোটে নিন্দাপ্রস্তাব পাস হয় বিধানসভায়।

প্রসঙ্গত  সোমবার বিধানসভায় মুণিপুর ইস্যুতে যে তৃণমূল সরব হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত ছিল। পাল্টা বাংলায় নারী নির্যাতন নিয়ে সরব হয় বিজেপি। তা নিয়েও বাগ-বিতণ্ডায় তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। প্রথমে নারী নির্যাতন ইস্যুতে বিধানসভায় ২ ঘণ্টা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা কমে দুপক্ষের জন্য নির্ধারিত হয় এক ঘণ্টা। তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই বলেন। আর বিজেপির তরফে সওয়াল করেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, শ্রীরূপা মিত্ররা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় বলেন, “ইঁদুর কাটলেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল আসে, বাংলায় এগোচ্ছে, তাই আপনাদের গাত্রদাহ।” পাল্টা  সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিধানসভায় বিজেপির তরফ থেকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাংলায় নারী নির্যাতন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ছবি পেশ করা হয়। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে ছবি বিজেপি দেখিয়েছে ওটা ফেক।” স্পিকারকে বিষয়টি দেখে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

Advertisement

Advertisement