আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা অন্তত সাতটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার মধ্য়ে একটি ফার্ম হাউস ও ৬টি বাড়ি। আর্থিক অনিয়মের তদন্তে নেমে এই সম্পত্তিগুলির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার পর ইডি এই সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। সন্দীপকে অবশ্য সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তার আগে বেশ কয়েকদিন সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ দায়ের করার পরে ইডি-র তদন্ত শুরু হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল যে সন্দীপ কলেজের উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ অর্থের অপব্যবহার করেছেন।
তদন্তে নেমে ইডি সন্দীপের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও সহযোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করে। সূত্রের খবর, সন্দীপ ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের একাধিক সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদের একটি ফ্ল্যাট, কলকাতায় তিনটি ফ্ল্যাট, কলকাতায় দুটি বাড়ি এবং একটি খামারবাড়ি।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর পরই সন্দীপকে ঘিরে ক্ষোভ তৈরি হয়। সন্দীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। শেষে কৌশিকী অমাবস্যার দিন সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন সন্দীপ। সন্দীপের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করানো হয়। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ-সহ ৪ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।