রাজ্যের সব মাধ্যমের স্কুলে বাংলা পড়ানোয় জোর দিতে হবে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যের সব মাধ্যমের স্কুলগুলিতেই বাংলা পড়ানোয় আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ বিষয়ে এপ্রিল মাসেই রাজ্যের সব দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, যে রাজ্য সরকারের অনেক নির্দেশ মানছে না বেসরকারি স্কুলগুলির একাংশ। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাংলায় শিক্ষা কমিশন গঠন করা যায় কিনা সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য।
অন্যদিকে অভিযোগ, রাজ্যের একাধিক স্কুল নিজেদের মুনাফার জন্য লাগামছাড়া ফি নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে শিক্ষা কমিশনও সেসব ব্যাপারে এবার থেকে নজরদারি চালাবে বলে জানা যাচ্ছে। কারও কারও মতে, বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যোগাযোগের মাধ্যম হবে এই শিক্ষা কমিশন।
কিছুদিন বেসরকারি স্কুলের বেলাগাম বেতনের মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন। ৩১ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে স্কুলের বেতন নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলছিল। স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও টিউশন ফি-র বাইরে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়। ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, বেসরকারি স্কুলগুলি কত ফি বাড়াবে, কখন বাড়াবে, সে সব দিকে কেন নজর নেই রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারকে একটি গাইডলাইন তৈরি করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এদিন মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে যে, শিক্ষা কমিশন গঠিত হবে রাজ্যে, তারা সবদিকে খতিয়ে নজর রাখবে। ওই কমিশনের শীর্ষে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি। রাজ্যের যেকোনও মাধ্যমের স্কুলে বাংলা পড়ানোয় জোর দিতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।