বাজি সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই চূড়ান্ত। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত। এই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ কালীপুজো-দীপাবলিতে ২ ঘণ্টার জন্য পোড়ানো যাবে পরিবেশ বান্ধব বাজি। এদিনের শুনানিতে বাজি ব্যাবসায়ীরাও জানান, তাঁরা পরিবেশ বান্ধব বাজি ছাড়া অন্য কোনও বাজি তৈরি বা বিক্রি করবেন না।
আরও পড়ুন : 'মমতাকে বারমুডা পরতে বলার মধ্যে অশ্লীল ইঙ্গিত ছিল'
হাইকোর্টের নির্দেশ, বাজি নিয়ে রাজ্যকেও নজরদারি করতে হবে। যাতে অন্য কোনও বাজি ব্যবহার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাঁরা বাজি কিনবেন তাঁরা কিউবার কোড ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব বাজির ও প্রস্তুতকারকের পূর্ণ বিবরণ পাবেন। যা মোবাইলে পরীক্ষা করা যাবে। এই বিষয়ে রাজ্য ও পরিবেশ দূষণ দফতর হলফনামা দেবে হাইকোর্টকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সপ্তাহ পর।
প্রসঙ্গত, দূষণ প্রতিরোধ এবং অতিমারি পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, পশ্চিমবঙ্গে কালীপুজোয় বা দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো যাবে না। পরিবেশবান্ধব বাজি হলেও নয়। এই রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সোমবার তাদেরই আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, দীপাবলি এবং কালীপুজোয় তো বটেই উৎসবের মরশুমে পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি জ্বালানো যাবে।
আরও পড়ুন : ইংরেজিতে M.A পাশ যুবতী এখন হাবড়া স্টেশনের 'M.A ENGLISH CHAIWALI'
আবেদনকারীরা এদিন কেন হাইকোর্টে গিয়েছিলেন? সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা যেন কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করেন, এই আর্জি নিয়ে এদিন রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। তাঁদের তরফে আদালতে আবাদন করা হয়, রাজ্যে কোথাও যেন নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো না হয়, তা নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট জায়গাতেই যেন বাজি পোড়ানো হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়।
আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট জানায়, এই অল্প সময়ের মধ্যে নতুন করে কোনও নির্দেশ দিলে তা কার্যকর করা রাজ্যের পক্ষে অসম্ভব। তাই নতুন করে এখন কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাই চূড়ান্ত। এরপরও কোনও সমস্যা হলে উৎসবের পর মামলার শুনানি হবে।