নারদকাণ্ডে (Narad Mamla) ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee) গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারপর থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের দাবি, এই গ্রেফতারির আগে অনুমতি নেওয়া হয়নি বিধানসভার অধ্যক্ষের, সেক্ষেত্রে এই গ্রেফতারি আইন বিরুদ্ধ, সংবিধান বিরুদ্ধ। যদিও তৃণমূলের সেই দাবি অবশ্য মানতে রাজি নন আইনজীবীদেরই একাংশ। এই গ্রেফতারিতে কোনও আইনি বাধা নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) বলেন, "কোনও আইনি বাধা নেই। তৃণমূলের যদি মনে হয় তবে আদালতে যাক। কোনওরকম অনুমিত প্রয়োজন হয় না। রাজ্যপাল দিয়েছেন, না দিলেও পারতেন। আর অধ্যক্ষকের কাছে যাওয়ার তো কোনও প্রশ্নই নেই।" প্রায় একই কথা শোনা গেল আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের (Arunava Ghosh) মুখেও। তিনি বলেন, "অধ্যক্ষের অনুমতির দরকার পড়ে না। এই যে আইন অমান্য হয়, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, সেখানে গ্রেফতার করতে গেলে কি অধ্যক্ষকে বলতে হয়? কোথায় লেখা আছে?" অরুণাভবাবু আরও বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, এঁদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে যদি মিনিস্টার অফ কাউন্সিল প্রস্তাব নাও করে, রাজ্যপাল সেটা করতে পারেন। রাজ্যপাল সেটাই করেছেন। আইনি পথে কোনও বাধা নেই।" যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে নৈতিক দিক থেকে এটা করা ঠিক হয়নি বলেই মনে করেন অরুণাভ ঘোষ।
প্রসঙ্গত নারদ মামলায় মঙ্গলবারই তৃণমূলের ৩ বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। নিজাম প্যালেসে হাজির হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে সিবিআই-এর আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেফতার করা হলে আমাকেও গ্রেফতার করতে হবে।"
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সিবিআই-এর দফতরের বাইরে জমা হন প্রচুর পরিমান তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ইট, পাটকেল, জলের বোতল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে তৃণমূলের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ট্যুইটারে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।