scorecardresearch
 

Cyclone Dana Impact: বাংলায় দানা-র প্রভাব কম, কলকাতা এয়ারপোর্টে বিমান চলাচল শুরু, ট্রেনের কী খবর?

কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল আবারও শুরু হল। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ফ্লাইট অপারেশন শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে। এছাড়াও বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও।

Advertisement
বাংলায় দানা-র প্রভাব কম, কলকাতা এয়ারপোর্টে বিমান চলাচল শুরু, ট্রেনের কী খবর? বাংলায় দানা-র প্রভাব কম, কলকাতা এয়ারপোর্টে বিমান চলাচল শুরু, ট্রেনের কী খবর?
হাইলাইটস
  • শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ফ্লাইট অপারেশন শুরু হয়েছে
  • এখনও ল্যান্ডফল চলছে ঘূর্ণিঝড় দানা-র

কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল আবারও শুরু হল। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ফ্লাইট অপারেশন শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে। এছাড়াও বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। সেখানেও সকাল ৮টা থেকে ফ্লাইট অপারেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে ওই বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে।

এখনও ল্যান্ডফল চলছে ঘূর্ণিঝড় দানা-র। ওড়িশার উপূকলে ধামারা ও ভিতরকণিকার মধ্যেই স্থলভাগে ল্যান্ডফল হয়েছে। বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিমি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এখনও ১ থেকে ২ ঘণ্টা ল্যান্ডফল চলবে। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের আগে ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেছিল। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরের ডিরেক্টর প্রসন্ন প্রধান জানিয়েছেন, ফ্লাইট অপারেশন সকাল ৮টা থেকে আবার শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাও বন্ধ রাখা হয়। ফ্লাইট অপারেশন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্থগিত করার কথা ছিল, তবে তা কিছুটা দেরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিগোর অমৃতসর-কলকাতা ফ্লাইটটি কলকাতা আসার শেষ ফ্লাইট ছিল এবং এটি সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে অবতরণ করেছিল। ইন্ডিগোর শেষ ফ্লাইটটি ছিল সন্ধ্যা ৭টায় কলকাতা-গুয়াহাটি রুটে।

এদজিকে, শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন বন্ধ থাকার কথা রেলের তরফে জানানো হয়েছিল। বাতিল করা হয় বহু দূরপাল্লার ট্রেনও। হাওড়া থেকেও অনেক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে শুক্রবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত।  আশঙ্কা থাকলেও বাংলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি দানা। রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেও বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। বৃষ্টি চললেও ঝড়ের কোনও প্রভাব সেইভাবে পড়েনি। যদিও ট্রেন চলাচল নিয়ে পূর্ব রেলের তরফে এখনও কোনও কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা আজ ভোরে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে। ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর এবং জগৎসিংহপুর জেলাগুলিতে বাতাসের গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার এবং অত্যন্ত ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া পরবর্তী এক থেকে দু ঘন্টা অব্যাহত থাকবে। আজ দুপুর নাগাদ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement