২০২১ সালের বিধানসভার উত্তাপ তখন তুঙ্গে। দল বদল চলছে পুরোদমে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন একের পর এক নেতা। সেই দলে ছিলেন তিনিও। চার্টার ফ্লাইটে একঝাঁক তৃণমূল নেতার সঙ্গে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেই বিজেপি-তে যোগদান। সেই প্রবীর ঘোষাল ফিরলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন। বলছেন, 'BJP-র সঙ্গে আমার মানসিক যোগ নেই।'
সে দিন চার্টার ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন
প্রাক্তন সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল ২০১৬ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে উত্তরপাড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। জিতেওছিলেন। পরে ২০২১ সালের বিধানসভার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল ইস্যুতে একরাশ অভিযোগ তুলে যোগ দেন বিজেপি-তে। সে দিন চার্টার ফ্লাইটে প্রবীর ঘোষাল ছাড়াও দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রুদ্রনীল ঘোষও। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ফিরেছেন তৃণমূলে। এবারও এলেন প্রবীরও।
কাঞ্চন মল্লিকের কাছে হেরে গিয়েছিলেন প্রবীর
২০২১ সালে উত্তরপাড়া বিধানসভাতেই প্রবীরকে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে হেরে যান প্রবীর। বস্তুত, প্রবীর ঘোষাল বিজেপি-তে থাকলেও পরবর্তীকালে দেখা যায়, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে কলাম লিখছেন। তাঁর মা মারা যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে খবরও নিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বিজেপি-র কোনও নেতার ফোন পাননি। প্রবীর ঘোষালের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রবীর ঘোষাল দীর্ঘদিনের সাংবাদিক। বিধায়কও ছিলেন। ওঁকে আবার দলের কাজ করতে বলা হয়েছে।'
এখন প্রশ্ন উঠছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে কি তাহলে ফের উত্তরপাড়া আসনে প্রবীর ঘোষালকেই টিকিট দিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস? কারণ, উত্তরপাড়ার ভূমিপুত্র হিসেবেই পরিচিত প্রবীর।