গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে মৃতের সংখ্যা বাড়ল। সপ্তাহ দুয়েকের পর হাসপাতালে মারা গেলেন আরও এক আহত ব্যক্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়েছে। ধীরে ধীরে তাঁর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বাঁচানো যায়নি বছর তেইশের যুবক মইনুল হককে। ঘটনার পর তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ জন।
এদিকে কলকাতা পুরসভা গার্ডেনরিচের বিল্ডিং ধসে নিহতদের স্বজনদের কাছে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। নিহতদের পরিবার পাবে ২ লাখ টাকা এবং আহতরা পাবে ৫০ হাজার টাকা। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া ক্ষতিপূরণের রাজ্য সরকারের মান হারের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা বা রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা হয় গার্ডেনরিচ পরিদর্শন করবেন বা ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নথিপত্র নিতে পরিবারগুলিকে পুর দফতরে আসতে বলবেন। কর্মকর্তারা, এবং নাগরিক সংস্থার কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ধসের পর মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন। বিজেপির অভিযোগ ছিল এটা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন। দলটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে বলেছে যে মেয়রের পরিবর্তে মুখ্য সচিবের মতো একজন সরকারি কর্মকর্তার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা উচিত ছিল।