ব্রিগেড দেখেছে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ। ব্রিগেডে দাঁড়িয়েই সিপিএমের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ব্রিগেডেই উঠল 'লাল সেলামে'র জনগর্জন। সেখানেই এবার বসতে চলেছে গীতাপাঠের আসর। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিচারে যা খুব একটা আকস্মিক নয়, তবে তাৎপর্যপূর্ণ বটে। সেটাও আবার লোকসভা ভোটের আগে। যদিও উদ্যোক্তারা বলছেন, এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানাতে চলেছেন তাঁরা।
২২ ডিসেম্বর গীতাজয়ন্তী। রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক ব্রিগেডে গীতাপাঠের আসর বসছে। উদ্যোক্তা অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ। সেখানে ১ লক্ষ মানুষ হাজির হয়ে গীতাপাঠ করবেন বলে দাবি করেছে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ এই সংগঠন। ওই দিন গীতার প্রথম পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হবে। অতিথি হিসেবে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের সহ-সভাপতি বন্ধুগৌরব ব্রহ্মচারী বলেন,'গীতা বিশ্ব মানবের। প্রতিটি মানুষের জীবনের চলার সংবিধান। এটা হিন্দু বা বৈষ্ণবের জন্য নয়। আমরা চাই গীতা সকলের মধ্যে প্রচারিত হোক। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার শিক্ষা দিয়েছিলেন। সংকটের সময় মানুষকে কী করতে হবে, সেই শিক্ষা দিয়েছিলেন। ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে আমরা গীতাপাঠ করব। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। '
জানা গিয়েছে, গীতাপাঠের কর্মসূচির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে আরও কয়েকটি সংগঠন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ আশ্রম, মহাউদ্ধারণ মঠ, প্রেমমন্দির আশ্রম এবং ইসকন-সহ একাধিক ধর্মীয় সংগঠন। ব্রিগেডে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটেছে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে। এবার লক্ষ লোক গীতাপাঠ করতে চলেছেন সেই জায়গায়। তাও আবার বড়দিনের ঠিক আগের দিন। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে গীতাপাঠকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের হাতিয়ারেই শান দেওয়া হবে। যদিও এর পিছনে রাজনীতির যোগ উড়িয়ে দিয়েছে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ উদ্যোক্তারা।