Hilsa Price in Kolkata: জুলাই মাসের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহজুড়ে বকখালি, দিঘা, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার থেকে প্রচুর টাটকা ইলিশ জালে ওঠায় সে সময় ‘রুপোলি শস্য’র দাম বেশ কিছুটা কমেছিল। তবে গত দিন সাতেক ধরে ঊর্ধ্বমুখী ইলিশের দর।
ইলিশের দাম বৃদ্ধির কারণ:
কলকাতা-হাওড়ার পাইকারি মাছ সরবরাহকারী আদিত মজুমদার জানান, খারাপ আবহাওয়া-নিম্নচাপের কারণে গত দিন সাতেক ধরে জেলে-মাঝিরা এখন মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ইলিশের স্থানীয় জোগানে টান পড়েছে। পর্যাপ্ত জোগানের অভাবে বাড়ছে মাছের দাম।
কতটা বেড়েছে ইলিশের দাম?
স্থানীয় মাছের জোগান কম থাকায় মানিকতলা-পাতিপুকুর-বালিগঞ্জের বাজারে ইলিশের দর কেজিতে প্রায় দেড়-দু’শো টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। কলকাতা সহ বাংলার ভোজনরসিকদের ইলিশের স্বাদ পেতে তাই বাড়তি নগদ গুনতে হচ্ছে।
বাংলার বাজারে ‘গুজরাতি’ ইলিশ:
স্থানীয় মাছের জোগান কম থাকায় ওড়িশা-গুজরাতের ‘দামি’ ইলিশে বাজারের চাহিদা মেটাচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। বালিগঞ্জের এক মাছ ব্যবসায়ী মুকুল সরকার জানান, ওড়িশা-গুজরাত থেকে আসা অধিকাংশ মাছের ওজন সাড়ে সাতশো-আটশো গ্রাম। এই মাছের দামও বেশ কিছুটা চড়া। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই মত, ‘গুজরাতি’ ইলিশের আকার-আকৃতি খুব লোভনীয় হলেও এর স্বাদ তেমন ভাল নয়।
কলকাতার বাজারে কোন মাপের ইলিশের দাম কত?
মানিকতলা-বালিগঞ্জের বাজারে মোটামুটি ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এখন ৬৫০-৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মোটামুটি ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দর এখন ১,৪০০-১,৫০০ টাকা। আর এক কেজির বেশি ওজনের মাছের দর শুরু হচ্ছে ১,৬০০-১,৭০০ টাকা থেকে। মাছের মান আর ওজনের ভিত্তিতে ইলিশের দামের সামান্য হের ফের হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট, কসবা বাজারে মাছের দর আরও কিছুটা বেশি।