গতবছরের তুলনায় এবছর বেশি ইলিশ মিলছে দীঘা মোহনায়। শুক্রবারই প্রায় ৪০ টন ইলিশ উঠেছে। তার কিছুদিন আগে প্রায় ৩০ টন ইলিশ উঠেছে ডায়মন্ড-হারবার, নামখানাতেও। সুতরাং হাসি ফুটেছে মৎসজীবীদের মুখে। বিপুল ইলিশ মেলায় যোগান বেড়েছে কলকাতা (Hilsa price in Kolkata) ও শহরতলির বাজারেও।
মানিকতলা বাজার থেকে গড়িয়াহাট বাজার, লেক মার্কেট বাজার, শহরের সব বড় বাজারেই দেদার বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। কোথাও এক থেকে দেড় কেজির ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা, কোথাও আবার ১৮০০ টাকা। তবে এক কিলোর ওপরে ওজনের ইলিশ খুবই কম। বেশিরভাগই ৭০০ গ্রামের মধ্যে। আগামীকাল রবিবার, বাজারের মূল আকর্ষণ হতে চলেছে টাটকা ইলিশ, একথা বলাইবাহুল্য।
মৎসজীবীরা জানাচ্ছেন, এবছর ইলিশ ধরার পক্ষে আবহাওয়া চলছে। পুবের হাওয়া আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিই ইলিশের উপযোগী আবহাওয়া। তাই ধরা পড়ছেও ঝাঁকে ঝাঁকে। দিঘা ফিশারম্যান ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেছেন, ভোটের জন্য অনেক জেলে বাড়ি গিয়েছিলেন। ফলে বিগত কিছুদিন জলে ট্রলার অনেক কম নেমেছিল। এবার ভোট মিটতেই মৎসজীবীরা ফের জলে নামছেন। তবে সবাই এখনও ফেরেনি। তারা ফিরলে আরও মাছ মিলবে।
শ্যামসুন্দর দাস বলেছেন, “এখন বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ সাড়ে পাঁচশো থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার ৮০০ গ্রামের উপরের মাছের দাম থাকছে হাজার থেকে ১১০০ টাকার কাছাকাছি। কোথাও আবার ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কলকাতায় পৌঁছোনোর পর ইলিশের দাম বাড়ার কারণ হল পরিবহণের খরচ। উপকূলের জেলাগুলিতে ইলিশের দাম কিছুটা কম।”
শ্যামসুন্দরবাবু জানালেন, এপর্যন্ত দীঘা মোহনায় ধরা ইলিশের বেশিরভাগই ৪০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মধ্যে। মাত্র ৫ শতাংশ মাছ ১ কেজি বা তার ওপরে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন শ্যামসুন্দর বাবু। তবে কলকাতায় ইলিশের জোগান ভাল থাকলেও এখনই দাম কমার আশা করছেন না বিক্রেতারা। তারজন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। ঝেঁপে বৃষ্টি নামলে আরও ইলিশ পাওয়া যাবে। তখন দাম কিছুটা কমবে।