একদিকে ফুটপাথ বলে কিছু নেই, যেকারণেই মানুষের ঢল নামছে রাস্তায়। যার জেরে মহালয়া থেকেই যানজটে ভোগান্তি শুরু হয়েছে শহরে। অন্যদিকে, হোর্ডিয়ের চাদরে ঢেকেছে কলকাতা শহর। যার ফলে বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ট্র্যাফিক সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। পুজো যতই এগিয়ে আসছে, কাঠামোগুলো যাত্রী ও পথচারীদের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করছে।
সাউদার্ন অ্যাভিনিউতে রাস্তা জুড়ে আলো-সহ বেশ কয়েকটি বাঁশের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। বাস চলাচল করে এমন রাস্তার ওপর দিয়ে এই ধরনের কাঠামো তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও ওই কাঠামো তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। অ্যাক্রোপলিস মলের কাছে বিশাল হোর্ডিংগুলো ট্র্যাফিক লাইট ঢেকে দিয়েছে। অ্যাক্রোপলিস মলের পশ্চিম সীমানা বরাবর চক্রবর্তী পাড়া রোড জুড়ে একাধিক হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। যার জেরেই ওই বিপত্তি।
ট্র্যাফিক লাইট হোর্ডিয়ে ঢেকে যাওয়ায় কারণে সোমবার বহু গাড়ি চালক সমস্যায় পড়েন বলে কলকাতা ট্র্যাফিক সূত্রে খবর। চালকরা বুঝতে পারছেন না, সিগন্যাল কখন সবুজ হচ্ছে, আবার কখন লাল। পুলিশকেই বার বার করে চালকদের বোঝাতে হচ্ছে। বহু মানুষ বলছেন, এটা বিপজ্জনক। বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি কলকাতার বহু রাস্তায় ম্যানুয়ালি সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার নিয়মে রয়েছে, কোনওভাবেই হোর্ডি লাগিয়ে ট্র্যাফিক সিগন্যাল ঢেকে দেওয়া যাবে না। স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সেসবের কোনও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ উঠছে। পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বিষয়টিতে পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
সাউদার্ন অ্যাভিনিউতে, প্রায় ১০টি বাঁশের গেটে সাজসজ্জার আলো লাগানো হয়েছে রাস্তা জুড়ে। ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, রাস্তা জুড়ে এই ধরনের কাঠামো অনুমোদিত নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, এ বছর কাঠামোগুলো অপসারণ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে দেশপ্রিয়াপার্কের বাইরে দুটি বাস শেল্টারে যে বাঁশের ফ্রেমে বিলবোর্ড টাঙানো হচ্ছে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।