নানা কারণে মাঝমধ্যেই ট্রেন বাতিল করে থাকে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই খবর আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। এবার যাত্রার মাত্র আধঘণ্টা আগে শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাতিল করেছে রেল। এর জেরে তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ দেখা দেয় হাওড়ার শালিমার স্টেশনে। রেল লাইনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান ট্রেনের যাত্রীরা।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীনে শালিমার স্টেশনে ট্রেন বাতিলকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। মঙ্গলবার সকালে শালিমার সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময় সূচির আধা ঘন্টা আগে রেল কর্তৃপক্ষ বাতিল ঘোষণা করে। আর এর জেরেই স্টেশনে উপস্থিত ওই ট্রেমের যাত্রীর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হাওড়ার শালিমার স্টেশনে। শালিমার- সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা এরপর রেল লাইনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও ইতিমধ্যেই মৌখিক ভাবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে ওই ট্রেন পরে চালানো হবে। যদিও মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে রাজি না হয়ে যাত্রীদের দাবি যতক্ষণ না তারা কর্তৃপক্ষের থেকে লিখিত বয়ান পাচ্ছেন, তারা রেললাইন থেকে সরবেন না।
যাত্রী বিক্ষোভের খবর পেয়ে রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। তারা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভ ওঠানোর চেষ্টা করেন। স্টেশনে বিক্ষোভকারী এক যাত্রী মৌসুমী দাস বলেন, সকাল থেকে কোনও রেলের কর্মীকে পাওয়া যায় নি। আমরা লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পরেই রেলের কর্তারা এসেছেন। আমরা মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে রাজি নই, লিখিত পেলে তবেই এই বিক্ষোভ বন্ধ করবো। আমরা বয়স্ক, বাচ্ছা নিয়ে স্টেশনে এসেছি। সোমবার পর্যন্ত তৎকাল টিকিট দেওয়া হয়েছে এই ট্রেনের। আচমকা কেন সেই ট্রেন বাতিল করা হল তার উত্তর কেউ দেয়নি। এই ঘটনার জেরে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধ ও বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও হয়েছে। তবে কী কারণে ট্রেন বাতিল, তার কোনও ব্যাখ্যা এখনও রেলের তরফে জানানো হয়নি। পরিবর্তে যাত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিকল্প ট্রেন দেওয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রেল।