কলকাতার একটি ওয়ার্ডেই ১৩০টি বেআইনি বিল্ডিং! এমটাই তথ্য উঠে এল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনের একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায়। গার্ডেনরিচের একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং ধসে ১০ জনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তারইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে গত তিন মাস ধরে চলা ওই সমীক্ষাটি। যার রিপোর্ট জমা পড়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, ওই বিল্ডিংগুলির বেশিরভাগই জি-৩ এবং জি-৪। চার ও পাঁচতলা। অজয়নগর, গঙ্গানগর, দীনেশনগর, মুকুন্দপুরের মতো এলাকায় সরকারি প্লটে কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছে বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ি। গ্রীন পার্ক, নিতাই নগর এবং পঞ্চসায়র ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডটি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে এবং ৭.০৯ বর্গকিমি জুড়ে বিস্তৃত। সমীক্ষার পরে রিপোর্টটি নবান্নে পাঠান হয়েছে। এবং পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষা করছেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বিল্ডিংয়ের প্ল্যানগুলি অনুমোদন করা হয়নি। কারণ এই কাঠামোগুলি বেদখল করা সরকারি জমিতে তৈরি হয়েছিল। গার্ডেন রিচের ঘটনায়, প্লটটিও বিতর্কিত বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই বিল্ডিগুলি সরকারি জমির ওপর। যদি এই বিল্ডিংগুলির মধ্যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তবে তা কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বিশাল বিব্রতকর বিষয় হবে বলেই মনা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার ১০৭, ১০৮ এবং ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি প্লটে অবৈধ বিল্ডিং তৈরি হওয়ার অভিযোগের পর ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ জরিপের নির্দেশ দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচের পাঁচতলা বাড়ি ধসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তার রিপোর্টও চেয়েছে আদালত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হলফনামা দিয়ে ওই বিষয়ে খুঁটিনাটি জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল।