scorecardresearch
 

Suvendu Adhikary Fake Voters: প্রায় ১৭ লক্ষ 'ভুয়ো' ভোটার! নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তালিকা জমা শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতার দাবি, ভোটার তালিকায় মোট ১৬ লাখ ৯১ হাজার ১৩২টি ডুপ্লিকেট নাম রয়েছে। নাম, আত্মীয়ের নাম ও বয়স – মূলত এই তিনটি ফিল্ড সেখানে মিলে যাচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর।

Advertisement
প্রায় ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের তালিকা নির্বাচন কমিশনের জমা দিলেন শুভেন্দু প্রায় ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের তালিকা নির্বাচন কমিশনের জমা দিলেন শুভেন্দু

এর আগে বারবারই রাজ্যের ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ভোটার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার তিনি ভুয়ো ভোটারের তথ্য তুলে দিলেন রাজ্যের হাতে এমনটাই জানিয়েছেন খোদ শুভেন্দু নিজে। এদিন নাটকীয় কায়দায় চিফ ইলেকশন অফিসারের কার্যালয়ে ঢোকেন তিনি। দু'হাতে ছিল দুটি ব্যাগ। তাতে লেখা ছিল ভুয়ো ভোটার। পরে জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের তথ্য তুলে দিয়েছেন।  

বিরোধী দলনেতার দাবি, ভোটার তালিকায় মোট ১৬ লাখ ৯১ হাজার ১৩২টি ডুপ্লিকেট নাম রয়েছে। নাম, আত্মীয়ের নাম ও বয়স – মূলত এই তিনটি ফিল্ড সেখানে মিলে যাচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর। শুধু তাই নয়, ১১ হাজারেরও বেশি নকল নামের ক্ষেত্রে EPIC-ও মিলে যাচ্ছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে পাঠানো ওই চিঠির সঙ্গে ডুপ্লিকেট ভোটারদের নামের তালিকাও শুভেন্দু জমা দিয়েছেন। ১৪ হাজার ২৬৭ পাতার ওই তালিকার সঙ্গে একটি পেনড্রাইভও জমা করেছেন তিনি। যেখানে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর।

ভুয়ো ভোটার নিয়ে সিইও অফিসে তথ্য জমা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। তিনি জানান, বিডিওদের ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হচ্ছে। বিরোধী দলনেতার দাবি, ''ভোটার তালিকা মনিটরিং করার পর দেখা গিয়েছে, ১৬ লক্ষের বেশি একই নাম, একই বয়স এবং একই বাবার নামে ভোটার আছে। তৃণমূল যাতে দুটি করে ভোট দিতে পারে, তার জন্য এই ভুয়ো ভোটার। ‌ আমরা চুরিটাকে ধরেছি। '' শুভেন্দু জানান, মোট চব্বিশ ব্যাগ তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। 

বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ভোটার তালিকায় নাম ডবল এন্ট্রি করানো হচ্ছে। শুভেন্দুর দাবি, "অমিত রায় চৌধুরী নামক অ্যাডিশনাল সিইও আছেন যিনি প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ গোপন কাগজপত্র সিইও অফিস থেকে পাচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।" তাই আপার লেভেলের ক্লার্কদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।

Advertisement

 

Advertisement