scorecardresearch
 

Abhijit Chakraborty On Ju: যাদবপুরে রাজনৈতিক স্বার্থে নেশা করিয়ে পড়ুয়াদের ক্ষতি করা হয়: প্রাক্তন উপাচার্য

যাদবপুরে মাদকের নেশাও হয় বলে দাবি অভিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন,'ওখানে নানা ধরনের নেশা হয়। নারকোটিক্স, মদ, গাঁজার নেশা হয়। ড্রাগস ঢুকত। হাতেনাতে ধরাও হয়েছে। সেগুলি বন্ধ করার সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। অনেকাংশে সফল হয়েছিলাম।' 

Advertisement
এক্সক্লুসিভ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। এক্সক্লুসিভ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী।
হাইলাইটস
  • যাদবপুর থেকে তাঁকে কেন সরে যেতে হল?
  • এক্সক্লুসিভ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

যাদবপুরকাণ্ডে এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। বাংলা ডট আজতক ডট ইন-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,'আমি যখন উপাচার্য ছিলাম তখন একগুচ্ছ নজরদারির ব্যবস্থা করি- বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করা, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ফ্লাড লাইট দিয়ে ক্যাম্পাস আলোকিত রাখা। মধ্যরাতে আমি নিজেও ঘুরতাম। দেখতাম, মদ, গাঁজা কেউ খাচ্ছে কিনা! সেই সময় অনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কোনও অনৈতিক ঘটনা ঘটার সুযোগ ছিল না। রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে আমি ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হই। আস্তে আস্তে যাদবপুর থেকে সুশাসন উঠে যায়। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়।' 

তিনি কঠোর পদক্ষেপ করায় কারও কারও স্বার্থে আঘাত লেগেছিল বলেও দাবি অভিজিতের। তাঁর কথায়,'ক্যাম্পাসে অসাধু কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছিল। হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী আদেশে আমার পক্ষে রায় দিয়েছিল। আমি মনে করি, যাদবপুরের ক্যাম্পাস ভারতের আইনের বাইরে নয়। সেই সময় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। লক্ষ্য করেছিলাম, বাম ও অতিবাম সদস্যরা আমাকে সরানোর জন্য সক্রিয় ছিল। তাঁরা ক্যাম্পাসে নজরদারির তীব্র বিরোধিতা করেছিল। হয়তো কোনও মতাদর্শ পূরণের জন্য করেছিল।' 

অধ্যাপকদের একাংশও কি আপনার কাজকর্ম পছন্দ হয়নি?  এই প্রশ্নে যাদবপুরের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন,'এমন অভিযোগ শুনেছি। সামনাসামনি আমি দেখিনি। তবে অধ্যাপকদের সংগঠন আমার নজরদারির ব্যবস্থাকে সমর্থন করেনি। তারা সমর্থন করলে আমার পক্ষে সহজ। আমার মনে হয়, ক্যাম্পাসে প্রকৃত নজরদারি যেন ছাত্র স্বার্থে থাকা উচিত ছিল।'

যাদবপুরে মাদকের নেশাও হয় বলে দাবি অভিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন,'ওখানে নানা ধরনের নেশা হয়। নারকোটিক্স, মদ, গাঁজার নেশা হয়। ড্রাগস ঢুকত। হাতেনাতে ধরাও হয়েছে। সেগুলি বন্ধ করার সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। অনেকাংশে সফল হয়েছিলাম।' 

আরও পড়ুন

Advertisement

একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শকে ছড়িয়ে দিতেই কি মাদক ব্যবহার করা হত? প্রাক্তন উপাচার্যের অভিযোগ,'নেশা ব্যবহার করে ছাত্রদের ক্ষতি করা হয়। রাজনৈতিক দিক থেকে মগজধোলাই করা হয়। তাঁরা কেরিয়ারের কথা ভাবে না। কেরিয়ার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। অনেকের পরিণতি শোচনীয় হয়। তারা সচেতন হলে রাজনৈতিক দাদাদের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।'

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন অভিজিৎ। তাঁর মতে,'নতুন ছাত্র ঢোকার পর দেখতাম, বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি অত্যন্ত উৎসাহী হয়ে কাছে টানার চেষ্টা করত। মগজধোলাই বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করত। রাজনৈতিক সচেতনতা থাকা উচিত। যাদবপুরকে রাজনীতির ব্রিডিং গ্রাউন্ড তৈরির চেষ্টা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও রাজনীতি থাকা উচিত নয়।'

 

Advertisement