ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এক ট্যুইটে ধনখড় জানান, 'গত ২৭ মে রাত্রি ১১টা ১৬ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলার অনুমতি চেয়ে ম্যাসেজ করেন। তারপরে ফোনে তাঁর ও তাঁর আধিকারিকদের তরফে প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠক বয়কট করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়, যদি শুভেন্দু অধিকারী সেখানে উপস্থিত থাকেন। অহমিকা জনসেবার উপরে প্রভাব বিস্তার করল।'
প্রসঙ্গত গত ২৮ মে রাজ্যে এসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে রিভিউ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র (Narendra Modi)প্রথমে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেখানে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে ১৫ মিনিটের সাক্ষাৎ করে তাঁর হাতে ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত রিপোর্ট তুলে দেন। তবে বৈঠকে মমতার অনুপস্থিতি নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীত। মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিতিকে ঘিরে তাঁর সমালোচনায় ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেত্রীই রয়ে গেলেন, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারলেন না।' পাশাপাশি নন্দীগ্রামে হেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতাকে মর্যাদা দিচ্ছেন না বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে বৈঠকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এক চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৮ তারিখের বৈঠকে যে স্থানীয় বিধায়ক থাকবেন তা তিনি জানতেন না। এক্ষেত্রে স্থানীয় বিধায়ক বলতে মমতা শুভেন্দকেই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা প্রশ্ন তোলেন, "ওইদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে আসি, তাহলে আমার দোষ কোথায়?"