আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তাররা একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের অনেক দাবি তিনি সমর্থন করেছিলেন। তবে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেওয়া উচিত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ডাক্তারদের অনেক দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই সৌজন্য দেখিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করা উচিত জুনিয়র ডাক্তারদের। কোনও অপরাধী যাতে রেহাই না পায়, সেদিকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'প্রথম দিন থেকে নিরাপত্তা নিয়ে ডাক্তারদের উদ্বেগের বিষয়টা শুনেছি ও সমর্থন করেছি। আমার মনে হয়েছে, ডাক্তারদের উদ্বেগ বৈধ ও ন্যায্য। হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা জোরদার করা হবে, সিসিটিভি বসানো হব এসন প্রতিশ্রুতি সুপ্রিম কোর্টকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথাও বলা আছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে সেই সব কাজ সম্পন্ন হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার একাধিক পুলিশ আধিকারিক ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার বদলি করেছে।'
তারপরই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ডাক্তারদের কাজে ফেরা উচিত বলে নিজের মত ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, 'সৌজন্যের খাতিরে এবার ডাক্তারদের ধর্মঘট তুলে নিয়ে কাজে ফেরা উচিত। জনগণের কথা ভেবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজে ফেরা উচিত।'
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও একাধিক আমলার সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের একাধিক দাবি মেনে নেন মমতা। সিপি-সহ একাধিক জনকে সরিয়ে দেন তিনি। এদিকে বুধবার সকালে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বেশ কয়েকটি জায়গাতে সমস্যা আছে, সেকথা ইমেলে উল্লেখ করেন তাঁরা। যে টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তার উল্লেখ রয়েছে মেলে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে সেই মেলের এখনও কোনও উত্তর আসেনি।