scorecardresearch
 

Justice Abhijit Gangopadhyay : 'আমি চাই বাংলায় সওয়াল হোক', আদালতে মাতৃভাষার পক্ষে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বিচার ব্যবস্থাকে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বাংলা ভাষায় সওয়ালের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement
justice abhijit gangopadhyay justice abhijit gangopadhyay
হাইলাইটস
  • বিচার ব্যবস্থাকে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছতে চান
  • সেই কারণে বাংলায় সওয়ালের পক্ষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বিচার ব্যবস্থাকে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বাংলা ভাষায় সওয়ালের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই চাকরি প্রার্থীদের বাংলায় সওয়াল করার কথা বলেছিলেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার তিনি আইনজীবীদেরও বাংলায় সওয়াল করার পরামর্শ দেন। 

এদিন এজলাসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি বাংলায় বলতে চাই। আমি আশা করব, আপনারাও বাংলায় সওয়াল করবেন। কারণ, এজলাসে উপস্থিত অনেক মামলাকারী রয়েছেন, যাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে কারও অসুবিধা থাকলে তিনি ইংরেজিতেই বলতে পারেন।' কেন মামলা বাংলায় শুনতে চান তিনি? বিচারপতি জানান, 'আমি লক্ষ্য করেছি এখানে অনেকে এসে বাংলায় কথা বলেছেন, বলে জিভ কেটেছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যেখানে জিভ কাটতে হয় তাহলে সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না।'

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় একথাও সাফ জানিয়ে দেন, যদি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর কাছে জবাবদিহি চায় তাহলে তিনি তার উত্তর দিতে রাজি আছেন। বিচারপতির কথায়, ' ‘সুপ্রিম কোর্ট উত্তর চাইলে তার উত্তর দেব। আদালতকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে বাংলায় সওয়াল হলে আদালতকক্ষে যারা বসে রয়েছেন তাঁরা সবাই বুঝতে পারবেন ঠিক কী হচ্ছে। আমি এরপরও বাংলাতেই শুনানি করব।'

আরও পড়ুন

ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। সেদিন চাকরিপ্রার্থীদের একটি মামলায় বিচারপতি বাংলা ভাষা নিয়ে সরব হন। বিচারপতি সেদিন চাকরিপ্রার্থীদের বলেন, 'আমি লক্ষ্য করেছি অনেকে ইংরেজি বলতে স্বচ্ছন্দ নন। আপনাদের মামলা আপনারা বাংলায় বলতে পারবেন।' তারপরই এদিন তিনি বাংলা ভাষা নিয়ে সওয়াল করার পক্ষে আইনজীবীদের পরামর্শ দেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি প্রাথমিকের একটি মামলা নিজের এজলাস থেকে ছেড়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাটিকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন তিনি। মামলাটির সঙ্গে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে শুনানি করা উচিত। সেই কারণে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠাচ্ছেন।

Advertisement

Advertisement