অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 'একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে?' প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের। সংবাদমাধ্যমকে বিচারপতি জানান, 'তিনি কি একটা হলফনামা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করবেন যে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত?'
ঘটনার সূত্রপাত তৃণমূলের মুখপাত্র এবং দলের ছাত্রনেতা সুদীপ রাহার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সুদীপ।তাঁর আর্জি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সংবিধানের ১২৪(৪) ধারা প্রয়োগ করা হোক। তা নিয়েই সংবাদ মাধ্যমের তরফে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়। তখনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি এই রকম কোনও নেতার নাম শোনেননি। তাঁর সংযোজন, 'আমাকে অপসারণের জন্য যদি সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠিয়ে থাকেন, তো ভাল কথা। সে করুক। আমাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা আগেও হয়েছে। এজলাসে পেপার ওয়েট নিয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। তা নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু আমার একটা ভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে।'
তারপরই বিচারপতি বলেন, 'একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? তিনি কি একটা হলফনামা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করবেন যে তাঁর সম্পত্তি কত ? যদি তা করতে পারেন তাহলে আমি অন্য যে নেতারা আছেন যেমন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় তাঁদের কাছে একই অনুরোধ রাখব আপনারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পত্তির হলফনামা প্রকাশ করুন। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখতে চাই, কার কত সম্পত্তি রয়েছে বা কার কত সম্পত্তি করার সোর্স ছিল। এটা কি করতে পারবেন? পারবেন বলে মনে হয় না।'
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, 'দুর্নীতির তদন্ত আটকানোর জন্য মোট কত টাকা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে খরচা করল রাজ্য সরকার? কত টাকা খরচা করেছে সেই টাকার পরিমাণ কি রাজ্য সরকার জানাবে? আমি চাই জানাক। না হলে আমি অন্যভাবে জানতে চাইব। অফিশিয়ালি জানতে চাইব। আগের দিনও চেয়েছি। আজও আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাইছি। এগুলো জানাক। আমার বিরুদ্ধে চিঠি তো লেখা যেতেই পারে। লিখুন না!'