এদিন তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। পরে বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায় জানিয়েছেন, এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। তাঁর কথায়, অজয়বাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের আলাপ। দুর্গাপূজার পর বিজয়া করতে গিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য নেই। বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে ঠিক কথা। রাজনৈতিক বিষয়ও রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনও ব্যাপারে আলোচনা হয়নি।
বুধবার দু'দিনের বাংলা সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কলকাতা-সহ রাজ্য তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে। দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে তো বটেই, তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক হয়েছে। বিজেপি জানিয়েছে, তিনি বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। কথা বলার চেষ্টা করবেন সমাজের বিশিষ্টদের সঙ্গেও। তাই এদিন বিজেপি নেতাদের অজয় চক্রবর্তীর বাড়ি যাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি বেশ কিছুদিন ধরেই সমাজের বিশিষ্টদের নিজেদের দলের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে। এ জন্য বেশ কিছু কর্মসূচিও নিয়েছিল তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়াল উপায় বাংলার একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করার সময় বার বার চেষ্টা করেছেন বাঙালি আবেগ ছোঁওয়ার। সেদিন তিনি তাঁর ভাষণে একাধিকবার বাংলা ও বাঙালির মনন, চেতনার কথা উল্লেখ করেন। শিল্প, শিক্ষা, বিজ্ঞান থেকে রাজনীতি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিখ্যাত বাঙালিদের কথা স্মরণ করেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে বিজেপি চেষ্টা করলেও বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা এখনও তাঁদের কাছাকাছি আসেননি। তবে তেমন ভাবে সফল হয়ে উঠতে না পারলেও তাঁদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টায় কোনও খামতি নেই দলের নেতাদের। তাঁরা এখনও সেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বুদ্ধিজীবীদের কাছে পৌঁছনোর জন্য তাঁরা একাধিক কর্মসূচিও নিয়েছিলেন। সভার আয়োজন করেছিলেন। বিজেপি নেতারা বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য তাঁদের অনুরোধ করে এসেছিলেন। তবে সেগুলো তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। দেখা গিয়ছিল বিশিষ্টজের বেশিরভাগই তাঁদের ডাকে সাড়া দেননি।