scorecardresearch
 

Dilip Ghosh Reaction: 'এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে,' 'কালীঘাটের কাকু' গ্রেফতারে কটাক্ষ দিলীপের

সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিকে মঙ্গলবারই দীর্ঘক্ষণের জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির জালে ধরা পড়েছেন কালীঘাটের কাকু রফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এবার তা নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতিকে।

Advertisement
 সুজয়কৃষ্ণর গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের সুজয়কৃষ্ণর গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের

সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিকে মঙ্গলবারই দীর্ঘক্ষণের জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির জালে ধরা পড়েছেন কালীঘাটের কাকু রফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এবার তা নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতিকে।

নিয়ম মেনেই বুধবার নিউটাইনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তৃণমূলনেত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতার কোন বিষয়েই মন্তব্য করতে পিছপা হননি দিলীপ ঘোষ।

কালীঘাটের কাকুর  গ্রেফতার নিয়ে
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে ম্যারাথন জেরার পরে অবশেষে গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, তিনি বলেন, ‘কাকু হল, জেঠু হল। এবার হয়তো পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে। ক্লু খোঁজা হচ্ছিল। কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে’।  রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে টেনে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির আরও সংযোজন ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। কিন্তু এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না। লেনদেন হলে সেটা আলাদা ব্যাপার। বাকি যারা ধরা পরেছে, তারাই আসল কিং পিন। এরা হ্যান্ডলার। এরাই লোক টেনে আনত। এরাই টাকা তুলত। টাকা বিনিয়োগ করত। টাকা পৌছে দিত। তথ্য খোঁজা হচ্ছিল। সেই তথ্য সিবিআই ইডির হাতে এসেছে। আমার মনে হয় এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে। তিনি জানিয়েছেন।'দিলীপ আরও বলেন,  ‘সেই কোম্পানির নাম অনেক আগেই এসেছে। নামেই কোম্পানি। টাকার লেনদেন হত। সেখানে যারা কর্মী, তারাই হ্যান্ডলার। সেই প্রমাণগুলো একে একে সামনে আসছে। অনেক দিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই’।

আরও পড়ুন

Advertisement

অভিষেক বনাম দিলীপ
সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের যাত্রাপথে কুড়মিদের বিক্ষোভ-হামলা ঘিরে দিলীপ ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগযুদ্ধ চরমে উঠেছে। সেই আবহেই তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়ে অভিষেকের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। জবাবে কড়া ভাষায় সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ অভিষেকও।  সেই বাগযুদ্ধ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ বলেন, ‘আমি করিনি। কিন্তু উনি আমার নামে চমকেছেন। আমার বাড়িতে ঘেরাও করিয়েছেন। হয়তো টাকাও দিয়েছেন। যারা আমার বাড়িতে এসেছিল, তারা পুরুলিয়া থেকে বাসে এসেছিল। কুড়মিরা ওনার কথা শোনেনি বলে হয়তো তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখে বলছে বিজেপি করেছে। শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কুড়মিদের। এভাবে জঙ্গলমহলের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এর ফল ওরা পাবে’।

দিলীপের মুখে বাইরনের সঙ্গে কৃষ্ণ কল্যাণী -অর্জুন সিংও
বায়রন বিশ্বাসের দলবদল নিয়ে বুধাবরও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘আমি ওকে চিনি। ও একসময় বিজেপি করতে চেয়েছিল। আমি বারন করেছিলাম। বলেছিলাম, তুমি ব্যবসায়ী বাড়ির ছেলে। বিজেপি করলে তোমার ব্যবসা করতে অসুবিধা হবে। তুমি যেহেতু সংখ্যালঘু, তোমাকে স্বীকৃতি দেবে না। কয়েক বছর আগের কথা। কংগ্রেস ওকে পেতে প্রচুর টাকা খরচ করেছে। ও রাজনীতির লোক নয়। তাকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সমাজ তৃণমূলকে একটা শিক্ষা দিয়েছে। কংগ্রেস, সিপিএম-এর কিছুই ছিল না। এখনও নেই। ল্যাংটার নেই বাট্পাড় এর ভয়। কিন্তু সংখ্যালঘু সমাজ তৃণমূলকে যে শিক্ষা দিতে চাইছিল, তারাও এখন ধোঁকা খেয়ে গেলেন’। পাশাপাশি কৃষ্ণ কল্যাণী ও অর্জুন সিং-এর দলবদল নিয়েও মন্তব্য করেছেন দিলীপ। বলেন, ‘তৃণমূল ২ থেকে ৩ টে গোল খেয়েছে। বায়রন ভোটে দাঁড়ানোর আগেই তার নামে একের পর এক কেস দিয়েছিল। তাকে কিছুটা বাধ্য করা হয়েছিল। যারা বিচারপতি গাঙ্গুলীর এজলাস থেকে মামলা সরে যাওয়ায় ডিজে বাজিয়ে পিকনিক করে, তারাই বায়রনকে জিতিয়ে কংগ্রেস ও সিপিএম এর মধ্যে ঠিক তেমনই আনন্দ ছিল। দুটোই জলাঞ্জলি গেছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে চটিয়ে কেউ ব্যবসা করে খেতে পারবে না। বায়রন ব্যবসায়ী। কৃষ্ণ কল্যাণী, অর্জুন সিং, সবাইকেই তাই আমরা এভাবে সারেন্ডার করতে দেখেছি। ’

ডিএ বৈঠকে  সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বাদ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জি যেকোনও আন্দোলনকে ভোঁতা করতে নিজের কিছু পেটোয়া লোক নিয়ে মিটিং করে ফেলেন। এটাই ওনার স্টাইল। তাই আসলে কাজের কাজ কিছু হয়না’।

Advertisement